চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামকেও রেড জোন মনে করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

৪ জুন, ২০২০ | ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরকে সরকার প্রাথমিকভাবে রেড জোন মনে করছে। গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোনে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে হাজির হতে হবে না। ফরহাদ হোসেন বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোনে বসবাস করেন তাদের আপাতত সচিবালয়ে আসার দরকার নেই। আমরা ইতোমধ্যে বলেছি, ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তাদের অফিসে আসার দরকার নেই। বাকিরা বাসায় থেকে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, আপাতত ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরকে আমরা রেড জোন বলছি। আবার ঢাকারও পুরোটা রেড জোন হয়ত হবে না। এখানে সংক্রমণের হার কম-বেশি রয়েছে। রেড জোনকেও ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করা হবে। তা না হলে তো কার্যক্রম থমকে যাবে। কোথায় কতজন আক্রান্ত আছে সেটা ম্যাপিং করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ একটি ম্যাপ জমা দিয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী ম্যাপের বিভিন্ন এলাকা রেড হবে, ইয়োলো হবে, গ্রিন হবে। সফটওয়্যারটা রেডি। এখন ডিসিশনটা নিয়ে আজ-কালকের মধ্যে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, লিফটম্যান, এমএলএসএসসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সচিবালয়ে একেবারে কম ডাকা হয়েছে। বুঝে তাদের ডাকা হচ্ছে। ঝুঁকিতে যারা আছেন আমরা তাদের ডাকছি না। এমনিতেই বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তানসম্ভবা নারীদের আসা নিষেধ। আমরা ১৫টি দিন সময় দিয়েছি। বুধবার চতুর্থ দিন পার হচ্ছে। প্রথম দিনের চেয়ে আরও কম সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অফিস করছি। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেসেজটা অলরেডি সব জায়গায় পৌঁছে গেছে। অফিস টাইমটাও খুবই ফ্লেক্সিবল। যার যখন কাজ শেষ হবে দ্রুত চলে যাবে। যদি কেউ ২ ঘণ্টায় কাজ শেষ করতে পারে সে চলে যাবে। যদি না এসে বাসায় বসে করতে পারে করে দেবে। কোনো কিছু আটকাবে না। কিন্তু মুভমেন্টটা কম থাকবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট