চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এবারের ঈদে বিক্রি কমেছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ মে, ২০২০ | ৯:৫২ অপরাহ্ণ

বিশ্বজুড়ে করোনার জন্য সবকিছুরই পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে লকডাউন বা কারফিউ জারি করা হয়েছে। সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে সব দেশের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।

সময়ের পালাক্রমে চলে এসেছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। পুরো এক মাস রোজা রাখার পর নিজের সেরা পোশাক পরে, সুগন্ধি ব্যবহার করে, মিষ্টান্ন খেয়ে ঈদের নামাজে অংশ নেয়ার কথা বলা আছে ধর্মীয় রীতিতে।

বাংলাদেশে যেহেতু সংখ্যাগুরু মুসলমান তাই এই ঈদ উপলক্ষে নিজের ও পরিবার সদস্য-স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করে থাকেন। সব আয়ের মানুষই তাদের সাধ্যমতো সাধারণত নতুন পোশাক, জুতা, স্যান্ডেল, নারীদের গহনা, প্রসাধনী, অলঙ্কার ও বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী, খাদ্যপণ্য সামগ্রী কেনাকাটার ধুম পড়ে। তবে এ বছর এর পুরো ব্যতিক্রম। প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার এই ঈদের অর্থনীতি করোনা ভীতিতে এবার প্রায় পুরোটাই স্থবির ছিল। ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদে কেনাকাটা কমেছে অন্তত ৫৬ হাজার কোটি টাকার।

গত ২৬ মার্চ থেকে অদৃশ্য করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আরেকটি সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখের সময় বন্ধ থাকার পর এই ঈদ উৎসবেও বন্ধ ছিল দেশের বেশিরভাগ শপিং মল, মার্কেট, দোকানপাট। ফলে যে ঈদ ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি বাজার ও দেশের অর্থনীতি চাঙা করতো এবার তার প্রায় কিছুই নেই। বন্ধ শপিং মল, দোকানপাটগুলোর দিকে চেয়ে এবার শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন সেই ব্যবসায়ীরা- অন্যান্যবার একই জায়গায় বেচাকেনায় যাদের দম ফেলার অবকাশ থাকতো না। যারা দোকানপাট খুলতে পেরেছেন তারাও হতাশ।

সরকারের বিশেষ অনুমতিতে গত ১০ মে থেকে করোনা ঝুঁকি নিয়েও সারা দেশে শপিং মল, মার্কেট, দোকানপাট খুললেও ক্রেতা শূন্যই কেটেছে বেশির ভাগ মার্কেটগুলোতে। করোনার ভয়াবহতার কারণে সরকারের দেয়া নানা শর্তের মাঝে দোকানগুলোতে খুব একটা ভিড় ছিলো না। ফলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হওয়ায় খোলার পর সপ্তাহ না ঘুরতেই প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেছে বেশিরভাগ জেলার এসব দোকানপাট। সব মিলিয়ে হতাশায় পুড়ছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, সরকার গত ১০ মে থেকে দোকানপাট, মার্কেট, শপিং মল ও বিপণিবিতানগুলো খোলার অনুমতি দিলেও তাতে ভোক্তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি মার্কেট চালু করার সুযোগ পেয়েও করোনা সংক্রমণ রোধ করতে বন্ধ রাখে বড় বড় শপিং মলগুলোর কর্তৃপক্ষও।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট