চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনার প্রভাবে অচল জীবনযাত্রা : প্রধানমন্ত্রী

৫০ লাখ পরিবারকে সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন

ঢাকা অফিস

১৫ মে, ২০২০ | ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা এমন এক অদৃশ্য শক্তি যার কাছে সকলকে মাথা নত করতে হয়েছে। করোনার প্রভাবে আজ জীবনযাত্রা অচল। এমন ঘটনা পৃথিবীতে আর ঘটেনি। তবে, এর মধ্যেও যেভাবে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সবাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। দেশে যখন করোনার মহামারি খারাপ রূপ ধারণ করলো তখন, আমার নির্দেশে দলের সদস্যরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া রিকশা ও ভ্যানচালক, মোটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকসহ দিনমজুর ও শ্রমজীবীদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে গতকাল প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এমন নিম্ন আয়ের ৫০ লাখ পরিবার এই সহায়তা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র এসব পরিবারের কাছে আড়াই হাজার টাকা করে পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা বলেন, অদৃশ্য করোনার কারণে সবখানে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে যারা শ্রম দিয়ে জীবন চালাত, তারা অচল হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের তাদের কথা চিন্তা করে কিছু উদোগ নিয়েছি। কারণ দিনমজুর ও শ্রমজীবী যারা আছেন, যাদের খাওয়া-পরার জন্য দৈনিক কাজের ওপর নির্ভর করতে হতো, তাদের জন্য কোনো কাজ নেই। তারা শ্রম দিতে পারছে না। তাদের কিভাবে রমজান মাসে সহায়তা করতে পারি, সেটা ভেবেই আমরা কিছু অর্থের ব্যবস্থা করেছি। ঈদের আগেই সারা দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে পাঠানোর কার্যক্রম গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। বিকাশ, রকেট, নগদ ও সিওর ক্যাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে এই টাকা বিতরণ করা হবে। প্রতি পরিবারে ধরা হয়েছে চারজন সদস্য, সেই হিসাবে এই নগদ সহায়তায় উপকারভোগী হবে ২ কোটি মানুষ।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিলো, তখনই অদৃশ্য শক্তির আঘাতে হোঁচট খেতে হলো। বিশ্বের সব মহাশক্তিশালী দেশ এ শত্রুর সামনে অসহায়। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পারেন নিজ নিজ জায়গা থেকে ঘরে থাকুন। করোনাভাইরাস দুর্যোগ মোকাবেলায় বিত্তবানদের আরো বেশি সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, আশেপাশের দরিদ্র মানুষের সাহায্য করুন। তাদের পাশে দাঁড়ান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, আমদানি-রপ্তানি সীমিত হয়ে পড়েছে। তাই এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। ফসল ফলাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দিয়েছি, তারা এই কার্ড দিয়ে ১০ টাকায় চাল কিনতে পারছেন। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা কার্যক্রম চলছে। এর বাইরেও যারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না, তাদের কথা চিন্তা করেই এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারের প্রতিটি পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে এককালীন নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই করোনার সময়, এই রোজার মাসে যারা কিছুটা হলেও উপকার পান, সে জন্যই এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কমিটি করে দিয়েছি। সেই কমিটি এই ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকা বারবার যাচাই-বাছাই করেছি। দ্বৈততা পরিহার করার চেষ্টা করেছি। যারা কোনো না কোনো সহায়তা পাচ্ছেন, তাদের বাদ দিয়ে এই ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা করার চেষ্টা করেছি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট