চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দেশের সব মসজিদ খুলছে আগামীকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ মে, ২০২০ | ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

দেশের সব মসজিদ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) থেকে শর্তসাপেক্ষে  খুলে দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজ থেকে সুস্থ মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন। বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয় এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ১২ দফা শর্তসাপেক্ষে মসজিদগুলো সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামাতে নামাজের জন্য অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার জোহর থেকে দেশের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মসজিদে জামায়াতের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হল- দুইজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া দুই কাতার পর এক কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় , এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে জারি করা হবে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়, পবিত্র রমজানে স্টাফ ছাড়া অর্থাৎ খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেমরা ছাড়া কেউ মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন না। ঘরেই নামাজ আদায় করতে হবে।

১২ দফা শর্ত গুলো হলো:

১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুণাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

২. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট পর পর দাঁড়াতে হবে।

৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

৯. উল্লিখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফ এর জন্য অবস্থান করতে পারবেন।

১০. করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১১. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার হবে।

১২. খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃখলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

 

পূর্বকোণ/- আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট