অবশেষে বন্ধ থাকা রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ধাপে ধাপে চালু করছেন কারখানা মালিকরা। আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) থেকে সীমিত আকারে বিভিন্ন স্থানে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে একেবারে সীমিত পরিসরেই উৎপাদন চলবে। পরবর্তীতে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে কারখানাগুলো। তবে বর্তমানে মাস্ক ও পিপিই উৎপাদনকারী প্রায় শতাধিক কারখানা চালু রয়েছে।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে কারখানা বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা দেয়নি। সংগঠনগুলো সরকার ঘোষিত আরেক দফার ছুটিতে কারখানা বন্ধের বিষয়ে চুপ ছিল। পাশাপাশি তারা কারখানা চালু করতে সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির চালাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গার্মেন্টস মালিকদের বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অঞ্চলভিত্তিক পোশাক কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ। তাই আপাতত ঢাকার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদের কাজে না আনার আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সদস্যদের উদ্দেশে কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে এক বার্তা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য সামগ্রিক বিবেচনায় বিজিএমইএ আপনাকে জোনভিত্তিক, সীমিত পরিসরে কারখানা খোলার পরামর্শ দেবে সরাসরি। এর আগে শ্রমিকদের ঢাকায় না আনার জন্যও সদস্যদের পরামর্শ দেয়া হলো।’ বার্তায় বিজিএমইএ সদস্যদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘সেইসব কর্মীদের নিয়ে কারখানা চালু করুন, যারা কারখানার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করেন।’ বিজিএমইএ’র বার্তায় আরো বলা হয়েছে, ‘মানবিক কারণে শ্রমিকদের ছাঁটাই না করার জন্য সদস্যদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুপস্থিত শ্রমিককে এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে।’ এতে বলা হয়, ‘পরামর্শ অনুযায়ী কারখানা খোলার তারিখ ও প্রটোকল দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিপালন করার অনুরোধ করছি।’
এদিকে, চট্টগ্রামেও বেশ কয়েকটি এলাকার কারখানা চালুর খবর পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোথাও সেটি পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। তদারকিও নেই কারো।
পূর্বকোণ/এম