চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল

অনলাইন ডেস্ক

২৫ এপ্রিল, ২০২০ | ৫:৩২ অপরাহ্ণ

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশে পঙ্গপাল হানা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফ্রিকা মহাদেশের কৃষিজমিতে তাণ্ডব চালিয়ে এবার এদিকেই ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল।

ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দু শস্যখেকো এই পোকার দলের সম্ভাব্য আক্রমণের খবর এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় সরকারি কর্মকতাদের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আফ্রিকার পূর্বতম অঞ্চলে এক ঝাঁক পঙ্গপাল মরু অঞ্চলের আরেক ঝাঁক পঙ্গপালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এসব পঙ্গপালের একটি দল ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব ও পাকিস্তান হয়ে ভারতেও হানা দিতে পারে।

ভারতে পঙ্গপালের হানার আশঙ্কার কথা ইতিপূর্বেও করা হয়েছিল। চলতি বছরের মে থেকে ভারতে পঙ্গপালের উপদ্রব শুরু হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তবে সেখানে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ ছিল না।

কর্মকর্তারা বলছেন, ইতিমধ্যে ভারতের পাঞ্জাব ও হারিয়ানা রাজ্যে ঢুকে পড়েছে একদল পঙ্গপাল। পঙ্গপালের আরেকটি দল ভারত মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে। ভারতের কৃষিজমিতে আক্রমণ করার পর এ দলটি বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে।

এই অঞ্চলে পঙ্গপালের এ দুই দল ফসলের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করতে পারে; এতে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে তারা মনে করছেন।

পঙ্গপাল আর ঘাসফড়িং দেখতে একই রকম। দল বেঁধে উড়তে উড়তে পঙ্গপাল পাড়ি দিতে পারে মাইলের পর মাইল। দুটো ক্ষুদে শিংওয়ালা এই পতঙ্গটি আধা থেকে তিন ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্যমতে, এই সময় এরা  ‘দানবের মত ক্ষুধার্ত’ হয়ে ওঠে। একেকটি পতঙ্গ প্রতিদিন নিজের ওজনের সমান ফসল খেতে পারে। এই পোকার দলের আক্রমণের কারণে উজাড় হতে পারে ক্ষেতের ফসল। তবে পঙ্গপালের মাধ্যমে  মানুষ ও প্রাণী আক্রান্ত হওয়ার তথ্য এখনও নেই। 

মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপাত্তা কাউন্সিলকে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি হুশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, বর্তমান মহামারীটি এখন ‘ক্ষুধার্ত মহামারী’তে পরিণত হতে পারে।

প্রসঙ্গত গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় পঙ্গপাল উৎপাতের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। এতে আফ্রিকাসহ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে খাদ্যাভাবে ফেলে দিতে পারে।

পঙ্গপাল উৎপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাত কোটি ডলারের তহবিল চেয়ে আহ্বান জানিয়েছে এফএও এবং জাতিসংঘ।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট