চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় দেশেই ভেন্টিলেটর বানাবে রেনেটা

অনলাইন ডেস্ক

১৯ এপ্রিল, ২০২০ | ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশেই সপ্তাহে ৪০০ ভেন্টিলেটর তৈরি করবে রেনেটা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানিটির হেড অফ ইঞ্জিনিয়ারিং মেহেদী হাসান বলেন, ম্যাকানিকেল ভেন্টিলেটর ব্যবহারের মাধ্যমে করোনা রোগীর মৃত্যু অনেকাংশ কমিয়ে আনা যায়। এখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভেন্টিলেটর খুবই জরুরি। যদি কম মূল্যে উৎপাদিত ভেন্টিলেটর মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায় তবে হয়তো অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে।

এসময় করোনা রোগীকে স্বল্পতম সময়ে নূন্যতম অপশনগুলো রেখে খুব কম খরচে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর দেয়ার জন্যেই এধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মেহেদী হাসান বলেন, আমরা ২৫ মার্চে প্রথম উদ্যোগ নেই এবং এপ্রিলের ৬ তারিখের মধ্যে প্রথম ল্যাব ট্রায়াল করি। এখন মেশিনের এসিস্ট কন্ট্রোল, প্রেশার সাপোর্ট আর এস.আই.এম.ভি এর মত এ্যাডভান্সড মোডগুলো প্রোগ্রাম করা হচ্ছে। একটা গ্রাফিক্যাল মনিটরেরও প্রোগ্রামিং শেষের দিকে যা থেকে একজন ডক্টর সহজেই রোগীর অবস্থা মনিটর করতে পারবেন। সাধারণত এইধরনের যত ভেন্টিলেটর আপনি ইউটিউবে দেখতে পাবেন সেখানে গ্রাফিক্যাল পেশেন্ট মনিটর নেই ।

হেড অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বলেন, একটা উন্নতমানের মেশিনের সকল সুবিধা এই মেশিনে সময় স্বল্পতার কারণে রাখা হয়নি। করোনা রোগীর জন্য নূন্যতম যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুর সাথে বেসিক কিছু অপশন থাকছে। একটা উন্নতমানের মেশিন বানানোর জন্য প্রচুর রিসার্স এবং ট্রায়াল লাগে যার সময় আমাদের হাতে হয়ত নেই আর দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে।

তিনি আরো বলেন, ব্যাগ ভাল্ব মাস্ক, বিভিএম (আম্বু – অগইট ব্যাগ নামে সুপরিচিত) খুব কমদামে সার্জিক্যাল এর দোকানে পাওয়া যায় সেটা ব্যাবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে আর মেশিনটাকে এমন ভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে যাতে তা একটা বেসিক ভেন্টিলেটর হিসেবে টানা কয়েকদিন সাপোর্ট দিতে পারে।

মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের রেনেটা টিম এই প্রযুক্তি বিনামূল্যে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা অন্য একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলছি যারা অলাভজনক মূল্যে কয়েক হাজার উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। রেনেটার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কায়সার কবির এই অংশটা নিজে দেখছেন যাতে স্বল্প মূল্যে স্বল্প সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে আমরা ভেন্টিলেটর পৌছে দিতে পারি। সরকারি অনুমোদন এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। রেনেটা চেষ্টা করছে এই প্রক্রিয়া স্বল্পতম সময়ে শেষকরে উৎপাদন শুরু করতে। টেস্ট- লাঙ (কৃত্রিম ফুসফুস) -এ সব ধরনের ট্রায়াল শেষের পথে, সরকারি অনুমোদন পেলে নিয়মমত পেশেন্ট ট্রায়াল করে তারপর বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া হবে। একজন প্রফেসরের অধিনেই এই টেস্ট করা হবে।

মেহেদী হাসান বলেন, একটি বা পাঁচটি ভেন্টিলেটর আর স্বল্পসময়ে কয়েক হাজার উৎপাদন এক বিষয় নয়। এই পরিমাণ উৎপাদনের জন্য প্রচুর মোটর, সেন্সর, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ দেশের বাইরে থেকে আনতে হবে। সেগুলো আনার পরে উৎপাদন করে দ্রুত বাজারজাত করা এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট