চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজদের ফাঁসি কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক

১২ এপ্রিল, ২০২০ | ১:১১ পূর্বাহ্ণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের (৭২) ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি সম্পন্ন হয়েছে।

জেলার মাহবুবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো, জল্লাদদের মহড়াসহ সব কার্যক্রমই শনিবার সম্পন্ন করা হয়।

অতিরক্ত আইজি প্রীজন্স, ডিআইজি প্রীজন্স, সিনিয়র জেল সুপার, ঢাকার সিভিল সার্জন, কারাগারের দুজন সহকারী সার্জন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি রাত ১১টার মধ্যে কারাগারে প্রবেশ করেন। মৃতদেহ রাখার জন্য আগেই কফিন এনে রাখা হয়।

মাজেদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন গত বুধবার নাকচ হওয়ার পর গত শুক্রবার পরিবারের ৫ সদস্য তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কারাবিধি অনুসারে আইনি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শনিবার মধ্যরাতে ফাঁসি কার্যকর করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে কারা কর্তৃপক্ষ। এটিই কেরানীগঞ্জে স্থাপিত নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম ফাঁসি।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিনের (আর্টিলারি) ফাঁসি কার্যকর হয় এর আগে।

এর আগে নাজিমুদ্দীন রোডস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর হয় বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ ও একেএম মহিউদ্দিনের ফাঁসি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনাসদস্য ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৬ জনের মধ্যে আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন ও রাশেদ চৌধুরী বিদেশে পালিয়ে আছেন। অপরজন আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

দণ্ড কার্যকরের সময় আইজিপি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুর রহমান, জেল সুপার ইকবাল হোসেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবুল সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সও কারাগারে নিয়ে রাখা হয়েছিল।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট