চলতি শুষ্ক মৌসুমে বছরের প্রথম বৃষ্টিতে সৃষ্ট বজ্রপাতে মহেশখালীতে তিন লবণচাষী নিহত হয়েছে। এছাড়াও প্রান্তিক লবণ চাষীদের লবণ মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কালবৈশাখী তা-ব শুরু হয়। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামিরুল ইসলাম পূর্বকোণকে ৩ জন নিহত হওয়ার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, হোয়ানক পশ্চিম বানিয়াকাটা এলাকার নেছার আহম্মদের ছেলে মানিক (১৭), পেকুয়া উপজেলার টৈটং ধৈনিনিয়া কাটা এলাকার ছৈয়দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৫) ও বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকার জালাল আহমদের ছেলে মো. ফারুক (২৫)। তন্মধ্যে মানিক মৈন্নাঘোনা লবণ মাঠে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে নিহত হয়, মোস্তাফিজুর রহমান হোয়ানকের আন্নুঘোনায় লবণ মাঠে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে নিহত হয় এবং তৃতীয়জন অর্থাৎ ফারুক কালাপাইন্না ঘোনায় নিহত হন। এছাড়াও শনিবার বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া কালবৈশাখী বৃষ্টির তা-বে উপজেলার বিভিন্ন লবণ মাঠের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। চাষীরা জানান, মাঠে কাজ করার সময় হঠাৎ দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে মাঠে উৎপাদিত লবণের ক্ষতি সাধিত হয়। ভেসে যায় মাঠের লবণ। মাঠের প্রান্তিক চাষিরা বাম্পার উৎপাদনে খুশি হলেও বৃষ্টিতে লবণ ভেসে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে। কাল বৈশাখী তা-বে উপজেলার মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, কালামারছড়া, হোয়ানক, বড় মহেশখালী, কুতুবজোম ও পৌরসভার লবণ চাষীদের মাঠের লবণ বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায়।