করেনায় অস্তিত্ব সংকটে দেশের রপ্তানি আয়ের সর্ববৃহৎ খাত তৈরি পোশাকশিল্প। চলমান পরিস্থিতে এই খাতে ৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের রপ্তানি আদেশ বাতিল ও স্থগিত করেছেন ক্রেতারা । আজ বুধবার (১ এপ্রিল) টিকে থাকার লড়াইয়ে বন্দরের সব চার্জ ও ডেমারেজ চার্জ মওকুফ চেয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে একটি পত্র দিয়েছেন ।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়ে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম এই পত্র দেন। প্রতিমন্ত্রী বরাবরে দেয়া পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং কারখানা বন্ধ হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫০টি পোশাক শিল্প কারখানার ৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের রপ্তানি আদেশ বাতিল/স্থগিত করেছেন ক্রেতারা। যেটা এখন আরো বাড়ছে। পোশাকশিল্পের মালিকরা কারখানা চালু রাখা, মজুরি প্রদানসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটিসহ সরকার কর্তৃক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে লকডাউন আরো প্রলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে প্রায় সব পোশাক কারখানা বন্ধ/ছুটি ঘোষণা করায় উৎপাদন কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে, যা আরো দীর্ঘায়িত হবে আশঙ্কা করা হয় পত্রে।
তিনি বলেন, পোশাকশিল্পের এই বিপর্যন্ত অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা কাটিয়ে উঠা অত্যন্ত দুরূহ হবে। আমদানি পণ্যের চালান খালাসে ফ্রি টাইম পরবর্তীতে বন্দরের প্রযোজ্য সকল চার্জ ও ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করা এ শিল্পের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অত্যন্ত জরুরি ও ন্যায়সঙ্গত। এই প্রসঙ্গে তিনি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সংকট উত্তরণের সহায়তা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন চীন সে দেশের সকল চার্জ মওকুফ করেছে।
শিপিং এজেন্ট ও আইসিডিসমূহকে ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম। উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পযর্ন্ত বাড়ানো হয়েছে ।
পূর্বকোণ-আরপি