চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রধানমন্ত্রীর ৪ বার্তা

করোনাভাইরাসের কাছে হারবে না বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

৩০ মার্চ, ২০২০ | ৩:২০ পূর্বাহ্ণ

বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কাউকে না ঘাবড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পরিস্থিতিতে সরকার সবকিছু নিয়ে জনগণের পাশে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের কাছে হারবে না বাংলাদেশ। গতকাল বিকেলে বিকেলে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করা হয় অনুষ্ঠানে। এসময় অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ও ত্রাণ তহবিলে অর্থ ও ২০ হাজার পিস পিপিই তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পরামর্শ ও আহ্বান সংবলিত চারটি বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার গতকাল এই বার্তাগুলো প্রচারের জন্য অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও বার্তাগুলো হচ্ছে নি¤œরূপ :-
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করণীয়
প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। বাইরে বের হলে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন। যারা করোনাভাইরাস-আক্রান্ত হয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছেন, তারা ১৪ দিন সম্পূর্ণ আলাদা থাকুন। ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও ঘরে বসে প্রার্থনা করুন। পরিবার, পাড়াপ্রতিবেশি এবং দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে এসব পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রির ঘাটতি নেই
স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পিপিই-সহ পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুদ রয়েছে। ঢাকায় ৪টি স্থানে এবং চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য ৬টি বিভাগে করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার স্থাপনের কাজ চলছে। কেউ গুজব ছড়াবেন না। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করোনা ভাইরাসে ভীত হবেন না
করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠে। নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস বেশ প্রাণ-সংহারী হয়ে উঠেছে। আপনার পরিবারের সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দিন। আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তাভাবনার বিলোপ ঘটায়। আপনি, পরিবারের সদস্যগণ এবং প্রতিবেশীরা যেন সংক্রমিত না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।
সহনশীল ও সংবেদনশীল হোন
করোনাভাইরাসের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব এক সঙ্কটময় সময় অতিক্রম করছে। এ সময়ে আমাদের সহনশীল এবং সংবেদনশীল হতে হবে। বাজারে কোন পণ্যের ঘাটতি নেই। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সঙ্গে সরবরাহ চেইন অটুট রয়েছে। অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবেন না। যতটুকু না হলে নয়, তার অতিরিক্ত কোন ভোগ্যপণ্য কিনবেন না। সীমিত আয়ের মানুষকে কেনার সুযোগ দিন। অসহায় মানুষের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট