চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গণস্বাস্থ্যের কিট মিলবে এপ্রিলে: জাফরুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক

২৭ মার্চ, ২০২০ | ৪:০৬ অপরাহ্ণ

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মানবদেহে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটের নমুনা সরকারের কাছে জমা দেয়ার প্রত্যাশা করছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) পেতে বিলম্ব হলেও অবিলম্বে এপ্রিলেই গণস্বাস্থ্যের কিট মিলবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

করোনাভাইরাস শনাক্তের সহজ ও সুলভমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি তিন সপ্তাহ আগে করেছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিট তৈরির বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) ডা. জাফরুল্লাহ জানান, সুলভমূল্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণের যে কিট আমরা উদ্ভাবন করেছি, তার কাজ চলছে। কাজের গতিও বেড়েছে। আমরা হোপফুল স্টেইজে আছি। আমরা আশা করি, এপ্রিলের সেকেন্ড উইকের মধ্যে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তাদের কাছে কিটের স্যাম্পল জমা দিতে পারব। এরপর সরকারের ক্লিয়ারেন্স পেলে এই আগামী মাসেই আমরা উৎপাদিত কিট বাজারে দিতে পারব। গণস্বাস্থ্যের কিট উৎপাদনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিস-ডিপার্টমেন্ট বন্ধ। সেজন্য একটু বিলম্ব হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে যে অর্ডার আমরা দিয়েছি তা এখনও আসেনি। এর বাইরে আমরা অলটারনেটিভ সোর্স থেকেও মালামাল আনছি। একই রিএজেন্ট চীনও এগ্ররি করেছে আমাদেরকে দেবে। চীনের মালামাল দিয়েই আমরা কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি।

তিনি আরো জানান, যুক্তরাজ্য বলেছে তারা আজকে রি-এজেন্ট, মলিকুলারগুলো বিমানে ওঠাবে। আশা করছি, রবিবার-সোমবারের মধ্যে আমরা সেগুলো পেয়ে যাব। এখন নতুন কোনো খবর দেয়ার কিছু নাই। গণস্বাস্থ্যের এই উদ্ভাবিত কিট সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এখন কী দেখছেন? করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের যে কিট আছে তার মূল্য অনেক অনেক বেশি। প্রায় ১০/১৫ হাজার টাকা লাগে। কোনো প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের পক্ষে এই মূল্যের কিট দিয়ে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব নয়। আমরা অত্যন্ত সুলভ মূল্যে কিট দিতে পারব, যেটা দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ পরীক্ষা করানোর সুযোগ পাবেন। সারা পৃথিবী আমাদের এরকম সুলভ মূল্যে কিট উদ্ভাবনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা এতো ব্যস্ত আছি যে, জবাবও দিতে পারছি না। আপনাদের এইটুকু বলতে পারি উই আর হোপফুল।’

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট