বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রবিবার (২২ মার্চ) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় আপাতত নগদ উত্তোলনের পরিবর্তে চেক প্রদান, মানি ট্রান্সফার বা অনলাইন ব্যাংকিংসহ অন্যান্য ব্যাংকিং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, করোনার বিস্তারে নগদ অর্থের লেনদেনকে ইতোমধ্যে একাধিক স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখার ক্যাশ কাউন্টারে কাজ করার সময় ক্যাশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরতে হবে। এছাড়া জনসাধারণের সঙ্গে লেনদেন করার সময় বিশেষ করে নোট গণনা বা নাড়াচাড়ার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বা সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নগদ অর্থ নাড়াচাড়ার পর নিজ হাত জীবাণুমুক্ত করার আগে কোনোভাবেই হাত দিয়ে অফিসের অন্য কোনও জায়গায় স্পর্শ করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ক্যাশ বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ছাড়া ব্যাংক শাখার অন্য কোনও কর্মকর্তা ক্যাশ কাউন্টার বা ভল্ট এলাকায় প্রবেশ করবেন না।

যদি কোনও বিশেষ প্রয়োজনে প্রবেশ করতে হয়, তাহলে ক্যাশ কাউন্টারে প্রবেশ ও প্রস্থানের আগে তাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বা সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শাখা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস সরবরাহের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থাপনা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

পূর্বকোণ-আরপি