চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত স্বেচ্ছাসেবীরা, নেই কোনো নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মার্চ, ২০২০ | ৯:৫৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ব্যক্তি ও সংগঠনপর্যায়ে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড চোখে পড়েছে। তবে সঠিক নির্দেশনা না থাকায় সচেতন করতে গিয়ে না বুঝে উল্টোটাও করছেন কেউ কেউ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ একাধিক সংগঠন হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিনামূল্যে বিতরণ করে আসছে। আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কেউ কেউ মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন। তবে এসব প্রতিরোধব্যবস্থা যথার্থ স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক ও নাট্যশিল্পী সামিনা লুৎফা নিত্রা বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবীদের কাজের জন্য দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আলোকে সঠিক গাইডলাইন তৈরি করা জরুরি।’

ঢাবির ফার্মেসি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহায়তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছে ছাত্র ইউনিয়ন। এ কথা উল্লেখ করে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ‘সারা দেশেই ছাত্র ইউনিয়নের তৈরি হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই কেমিক্যাল সংকট তৈরি হওয়ায় বাজারে উপকরণগুলো পর্যাপ্ত পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা উচিত এবং সম্মিলিতভাবে এই সংকটে সবারই কাজ করা উচিত। স্বেচ্ছাসেবীরা কীভাবে কাজটি করবে তার তদারকির জন্য বিশেষজ্ঞদেরও যুক্ত হওয়া উচিত।’

নিজেরাও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে নিত্রা বলেন, ‘এই মুহূর্তে মনে করছি, চিকিৎসকদের সুরক্ষিত রাখতে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), মাস্কসহ কিছু চিকিৎসা উপকরণ তৈরি করা জরুরি। আমাদের দেশে চিকিৎসকেরা সাধারণত যে কাপড়ের পিপিই ব্যবহার করেন, সেটা করোনাভাইরাসের জন্য সুরক্ষিত নয়। তাই বিশেষজ্ঞদের তদারকিতে সেসব পিপিই তৈরি করাটা জরুরি। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী যেন এগিয়ে আসেন এবং এগুলো তৈরি করে দেন।’

সংস্কৃতিকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার আগ্রহ বেশি জানিয়ে ঢাবি শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার জন্য সংস্কৃতিকর্মীদের অনেকেই যোগাযোগ করছেন। তারা কাজ করতে চান। কিন্তু করোনার বিষয়টা তো একটু আলাদা। এখানে কেউ চাইলেই জনসমাগম তৈরি করে কাজ করতে পারবে না। করোনা নিয়ে এরই মধ্যে প্রচুর ভুল তথ্যের মিথ ছড়িয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কীভাবে মানুষকে সচেতন করা যায় তার একটা গাইডলাইন তৈরি করা জরুরি।’

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই স্ট্যাটাস লিখে স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন। অনুস্বর নাট্যদলের সদস্য আরিফ সাকিল ফেইসবুকে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে জানিয়েছেন তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে চান। একই রকম স্ট্যাটাস দিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নবনীতা চক্রবর্তীসহ অনেকে। তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর

 

 

 

 

পূর্বকোণ-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট