চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা সুরক্ষা পোশাক বানানো শুরু কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মার্চ, ২০২০ | ৭:২৮ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সুরক্ষা সরঞ্জামের সংকট। ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে। পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বিশেষ সুরক্ষিত পোশাকের ঘাটতি কাটাতে তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পে ইট ফরোয়ার্ড, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বুয়েট এলামনাইসহ আরও দুটি সংগঠন।

গতকাল শনিবার (২১ মার্চ) পিপিইয়ের ৩০টি নমুনা বা স্যাম্পল তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মার্কস এন্ড স্পেনসার (এমএন্ডএস) বাংলাদেশ প্রধান স্বপ্না ভৌমিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে পিপিই তৈরিতে সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে। একইসাথে এগিয়ে এসেছেন রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার কয়েকজন উদ্যোক্তাও।

জানা গেছে, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রনাথ, বুয়েট এলামনাইয়ের প্রতিনিধি ফজলে মাহবুব ও পে ইট ফরোয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা বাদল সৈয়দের উদ্যোগে পিপিই বানানোর উদ্যোগ প্রথমে নেয়া হয়। পরে উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত হয় রোটারি ক্লাব ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট অধীনে কয়েকটি রোটারি ক্লাব এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ট্যাক্সেশন এসোসিয়েশন। প্রতিটি সংগঠনই পিপিইর জন্য তহবিল সংগ্রহ করলেও অনেক কারখানায় পোশাকটি বানানোর জন্য কেউ রাজি হয়নি। পরে বিষয়টি স্বপ্না ভৌমিককে অবহিত করলে তিনি কারখানার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগিতা করেন।

পে ইট ফরোয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা বাদল সৈয়দ আজ রবিবার (২২ মার্চ) দুপুরে বলেন, ‘গতকাল শনিবার নমুনা তৈরির পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেখানো হয়েছে। তারা মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা এখন পর্যন্ত যে তহবিল সংগ্রহ করেছি, তাতে চার লাখ পিপিই তৈরি করতে পারবো। এসব পিপিই বিভিন্ন হাসপাতালে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিনামূল্যে দিতে চাই।’ এখন পর্যন্ত আমরা দুই লাখ পিপিই প্রস্তুতের ক্রয়াদেশ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে স্বপ্না ভৌমিক অনেক সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তিনি।

স্বপ্না ভৌমিক বলেন, ‘পিপিই বানানোর বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পোশাকগুলো সেলাই করা হয়েছে সাধারণ সেলাই মেশিনে। সেলাইয়ের কারণে পুরোপুরি বায়ুরোধী করা যায়নি। আজ আমরা সারা দিন সেই কাজটি করব। আশা করছি, দুই–তিন দিনের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে ব্যবহার উপযোগী পিপিই বানানো সম্ভব হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিনামূল্যে চার লাখ পিস পিপিই সেলাই করার ব্যবস্থা করব। পিপিইর জন্য বিশেষ ধরনের নন-ওভেন কাপড়ের দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে চীন থেকে সেই কাপড় আনতে অনেক সময় লাগবে বিধায় আমরা দেশেই উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছি। সে জন্য বস্ত্রকলমালিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট