চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কোয়ারেন্টাইন হবে বন্দর ও রেলওয়ে হাসপাতালে
কোয়ারেন্টাইন হবে বন্দর ও রেলওয়ে হাসপাতালে

কোয়ারেন্টাইন হবে বন্দর ও রেলওয়ে হাসপাতালে

ইমাম হোসাইন রাজু

১৭ মার্চ, ২০২০ | ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাস রোগীদের কোয়ারেন্টাইনের রাখার জন্য নগরীর দু’টি আবাসিক হোটেল প্রস্তাবনা থাকলেও তা থেকে পিছিয়ে এসেছে প্রশাসন। এবার চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল ও রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। এরমধ্যে চট্টগ্রাম রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও বন্দর হাসপাতালে ৫০ শয্যার পৃথক ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে বলে পূর্বকোণকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শহরিয়ার কবীর।

তিনি বলেন, এতদিন আবাসিক হোটের চিন্তা করা হলেও, কিছু বিষয়ে তা থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্দর হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালে পৃথকভাবে একশ’ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ দুই হাসপাতালের বাইরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং ফৌজদারহাট বিআইটিইডি হাসপাতালও আগ থেকে প্রস্তুত করা আছে। আশা করি কোন সমস্যায় পড়তে হবে না’।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালি থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা আরও তিন বাংলাদেশি নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৯ জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

তিনি  বলেন, নতুন করে ইতালি থেকে আসা এসব ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সকলের নাম-ঠিকানা স্বাস্থ্য বিভাগ সংগ্রহে রেখেছেন। যাদের বিষয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে’।

অন্যদিকে চট্টগ্রামকে করোনার জন্য বেশি ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামে দুটি বন্দর, একটি বিমান বন্দর ও অপরটি সমুদ্র বন্দর। দুই বন্দর দিয়েই সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এন্ট্রি পয়েন্টেই যদি সংক্রমণকারীকে ঠেকিয়ে দেয়া না যায়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না বলেও অভিমত স্বাস্থ্য বিভাগের।

গতকাল চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই মন্তব্য করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে দুই বন্দরের কারণে চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে ইতোমধ্যেই থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রবন্দরেও হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের মাধমে পরীক্ষা করা হচ্ছে’।

চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৫০টি আইসোলেশন বেড নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কমিটি রয়েছে। প্রশাসন বিষয়টা দেখভাল করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি’।

জেলা প্রশাসনের কমিটির বাইরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক সিদ্ধান্তে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ। আর সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরীয়ার কবির।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট