চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সংশোধন হতে পারে প্রকল্প

করোনার থাবায় থমকে গেছে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

১৪ মার্চ, ২০২০ | ৩:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের থাবা পড়েছে চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ প্রকল্পেও। এ প্রকল্প ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণসামগ্রী চীন থেকে আনা যাচ্ছে না, তাই যথাসময়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটির আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের নির্মাণকাজ ব্যহত হচ্ছে। এতে প্রকল্পটি আবারও সংশোধন হতে পারে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপিতে ৯৫০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য ছিল। এর মধ্যে ৮৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা খরচ হবে। এ হিসেবে ৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ করা বাকি থাকবে। একই সময়ে সরকারি খাতে ৬৭০ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে ৫৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। ফলে এখান থেকেও খরচ হচ্ছে না ৭৫ কোটি টাকা। এতেও প্রকল্পের সময় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে প্রথমবার কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এ টানেল নির্মাণের কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের অনেকে চীন যাতায়াত করতে পারছেন না। এমনকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইক্যুইপমেন্ট ও নির্মাণসামগ্রী চীন থেকে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণেই সংশোধিত এডিপির টাকা খরচ হচ্ছে না।
পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান সাইফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ করছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনেক যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী চীন থেকে আনা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে তা স্থবির হয়ে আছে। তিনি বলেন, এডিপিতে এ প্রকল্পের আওতায় জিওবি ও প্রকল্প সাহায্য মিলে ১ হাজার ৬২০ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে করোনার কারণে ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ করা যাচ্ছে না। এ বরাদ্দ পরের অর্থবছরে আবারও সমন্বয় করতে হবে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, চীনের বাণিজ্যিক নগর সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে। এ ধরনের উন্নয়ন কাজ বাংলাদেশে এবারই প্রথম। ২০১৫ সালের নভেম্বরে এই টানেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এর দৈর্ঘ্য হবে তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। আর নির্মাণ ব্যয় নয় হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ঋণ হিসেবে চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক দেবে পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট