চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

আদেশ প্রত্যাহার ‘নাম বিভ্রাটে’ জামিন জি কে শামীমের

৯ মার্চ, ২০২০ | ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ

অস্ত্র মামলায় ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিনের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাইকোর্ট, মাদকের মামলাতেও একই ধরনের আদেশ আসছে বলে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে। দুই মামলায় এক মাস আগে শামীমের জামিন পাওয়ার খবর নিয়ে দুদিন ধরে তুমুল আলোচনার মধ্যে গতকাল রবিবার হাইকোর্টের এ সিদ্ধান্ত এলো। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন স্বপ্রণোদিত হয়ে

অস্ত্র মামলার জামিন আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করে বলেছে, ‘নাম বিভ্রাটে’ হয়ত বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। আদালতে এদিন শামীমের পক্ষে ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান। দুপুরে আদালত বসলে শুরুতেই এফ আর খান বলেন, “এই মামলায় (অস্ত্র মামলায়) জামিন আবেদনকারীর নাম লেখা আছে এস এম গোলাম কিবরিয়া। কিন্তু আদালতের ওই দিনের কার্যতালিকায় নাম ছিল শুধু এস এম গোলাম।
এরপর জিকে শামীমের আইনজীবী মেহেদী আদালতকে বলেন, জামিন আদেশের দিন ওইসময় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এফ আর খান আদালতেই ছিলেন না। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তখন বলেন, “কার্যতালিকায় নামের বিভ্রাট আছে। এ কারণে হয়তো বিভ্রান্তি হয়েছে। আমাদের হয়ত বুঝতে সেদিন ভুল হয়েছে। তাই আমরা জামিনের অর্ডারটি রিকল (প্রত্যাহার ) করলাম।”

ডিএজি ফজলুর রহমান শনিবার বলেছিলেন, জি কে শামীমের জামিনের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের জানা নেই। আর রবিবার জামিন আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর তিনি বলেন, “নাম নিয়ে বিভ্রাট হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ হয়ত তখন বুঝতে পারেনি।”
একই ধরনের কথা বলেন বিচারপতি মো রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডিএজি জান্নাতুল ফেরদৌস। ওই আদালত থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেওয়া হয়। ডিএজি জান্নাত গতকাল বলেন, আদালত জামিন আদেশ রিকল করবে। সেজন্য আগামীকাল আদেশের জন্য রেখেছে। এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কোর্ট রিকল না করলে আমরা আপিল বিভাগে যেতাম।”

রাষ্ট্রপক্ষ কী করেছে তদন্ত হবে : আইনমন্ত্রী
অস্ত্র আইনের মামলায় হাইকোর্টে ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ইকনোমিক জোন অথরিটি-বেজা আয়োজিত এক কর্মশালার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, “ব্যাপারটা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে অস্ত্র আইনে মামলাটি হয়েছে, সেখানে সুস্পষ্ট বলা আছে, বেইলের ব্যাপারে দুই পক্ষকে শুনতে হবে। এখানে যদি সেটার ব্যত্যয় হয়ে থাকে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আর যদি ব্যত্যয় হয়ে না থাকে তাহলে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কী বলেছিলেন সেটার তদন্ত করা হবে।”

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট