চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে তানভীরের মামলা বাতিলের আবেদন বাদ

অনলাইন ডেস্ক

৪ মার্চ, ২০২০ | ৬:০৫ অপরাহ্ণ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় সন্দেহভাজন তানভীর রহমানের মামলা বাতিলের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এখতিয়ার নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ প্রশ্ন তুললে আজ বুধবার (৪ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে আবেদনকারীর আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, আমরা মনে করি এই আদালতের শুনানির এখতিয়ার আছে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এই আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। এখন এই বেঞ্চেই যেন শুনানি হয় সেজন্য প্রধান বিচারপতি বরাবরে আবেদন করব।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সকালে তিনি তদন্তের সর্বশেষ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এরপর এই মামলা শুনানিতে আদালতের এখতিয়ার আছে কিনা সে মর্মে প্রশ্ন তোলেন। এরপর আদালত আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেন, ১৪ নভেম্বরের আদেশ অনুসারে হলফনামামূলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শুনানির শুরুতে এ মামলার শুনানিতে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। আমরা আমাদের এখতিয়ার সম্পর্কে অবহিত। যেহেতু রুলটি চলমান, সেহেতু এই মামলার শুনানি ও আদেশ দিকে প্রদানে এখতিয়ারগত বাধা নেই। এরপরও রাষ্ট্রপক্ষ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, তাই মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হল। এর আগে ২ মার্চ এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আদালতে হলফনামা আকারে দাখিলের জন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৪ মার্চ বা তার আগে এ মামলার তদন্তের সবশেষ অবস্থা এবং অপরাধের সঙ্গে তানভীরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হলফনামাসহ দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের পর জামিনে থাকা মো. তানভীর রহমান তার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। গত বছরের ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে রুলসহ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদি হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের উপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১ অক্টোবর সন্দেহভাজন হিসেবে তানভীরকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট