চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এটর্নি জেনারেলের পদে থাকা নিয়ে ফের রিট

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

৬৭ বছর অতিক্রমের পরও কোন কর্তৃত্ববলে মাহবুবে আলম এটর্নি জেনারেল পদে বহাল আছেন তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন রেখেছেন।-বাংলানিউজ

গতকাল সোমবার এ বিষয়ে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বলেন, রবিবার রিটটি কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু আবেদনকারী সময় চেয়েছিলেন। এরপর আদালত রোববার দিন রেখেছেন। তিনি আরও জানান, এর আগেও ওই আইনজীবী এ বিষয়ে রিট করেছিলেন। আদালত খারিজ করেছিলেন ওই রিট। এখন আবেদনকারী আইনজীবী বলছেন- নতুন যুক্তিতে তিনি রিট করেছেন। এর আগে তার করা একই রকমের একটি রিট ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘৬৭ বছর অতিক্রম করলেন মাহবুবে আলম, এটর্নি জেনারেলের পদে থাকা নিয়ে বিতর্ক’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত (২০১৬ সালের) ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হয়েছে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের। তাই আইন সংশ্লিষ্টদের কারও কারও মতে, পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি আর এটর্নি জেনারেলের পদে থাকতে পারেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইতে জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার এই প্রতিবেদককে বলেন সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দান করিবেন’। ‘তিনি বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হলেই অবসরে যান। অর্থাৎ এরপর তারা বিচারক পদে থাকাটা অসাংবিধানিক। একই কারণে ৬৭ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর এটর্নি জেনারেলের পদে থাকাও অসাংবিধানিক’।

‘প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো বিচারক ৬৭ বৎসর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।’
‘এ বিষয়ে জানতে চাইলে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সংশ্লিষ্টদের ৬৪ অনুচ্ছেদের কেবল শুরুর অংশ না পড়ে পুরোটা পড়ার পরামর্শ দেন। এ অনুচ্ছেদের শেষে ৬৪(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত এটর্নি জেনারেল স্বীয় পদে বহাল থাকবেন’। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর হাইকোর্টে ওই রিট করেছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট