চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পিপি হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় ৫ জেএমবি’র ফাঁসি

অনলাইন ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ২:৪৯ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠির পিপি (সরকারি কৌঁসুলি) হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের আপিল খারিজ করে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) গ্রহণ করে রায় দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

তারা হলো- আবু শাহাদাত মো. তানভীর ওরফে মেহেদি, মুরাদ হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন, আমিনুল ওরফে আমির হোসেন ও সমীর হোসেন ভূঁইয়া। পাঁচ আসামির মধ্য বিল্লাল হোসেন পলাতক। বাকিরা কারাগারে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস ও সৈয়দা শবনম মুশতারী। 

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান, এসএম মাহবুবুল ইসলাম, মহিনুর রহমান। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত ছিলেন আইনজীবী আসাদুর রহমান।

২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ঝালকাঠির গোরস্তান মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পিপি হায়দার হোসেন। এই ঘটনার পর দিন ঝালকাঠি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির ছেলে তারেক ইবনে হায়দার। এ মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রায় দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুল হালিম। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

শায়েখ আবদুর রহমানসহ জেএমবির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ার ২০ দিন পর ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি হায়দার হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে তারিক বিন হায়দার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট