চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চীন থেকে ফিরলেন ৩১২ বাংলাদেশি ৮ জনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ৩১২ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় বিমানবন্দর থেকে ৭ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও একজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। অন্যদের আশকোনা হজ্জ ক্যাম্পে স্থাপিত ‘কোয়ারেনটাইন ইউনিটে’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ দিন এখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাদের। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ৩১২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৯০ জন পুরুষ, ১০ জন নারী, বাকি ১২ জন শিশু। শিশুদের মধ্যে তিন জনের বয়স এক বছরেরও কম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বিমানে চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেও চীন পাঠানো হয়েছিল। তাছাড়া, বিমানটিতে রাখা ছিল- মাস্ক, গাউন, মেডিসিনসহ যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা।

বিমানের কর্মকর্তারা জানান, উহান শহরের তিয়ানহি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১০টায় ৩১২ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে বিমানটি রওনা হয়। বিমানবন্দরে ‘হেলথ স্ক্রিনিং’য়ের পর আট বাংলাদেশিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালে। বাকি ৩০৪ জনকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তত্ত্বাবধানে আশকোনা হজ ক্যাম্পে সদ্য স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, ঢাকায় ফিরে আসার প্রস্তুতি নিয়েও দু’জন বাংলাদেশিকে বিমানের এই বিশেষ ফ্লাইটে আনা যায়নি। শরীরে অত্যধিক জ্বর থাকায় তাদের চীনেই রেখে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।

চীন ফেরত বাংলাদেশিদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশে ফিরিয়ে আনা ৩১২ জনের মধ্যে আট জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আগামি দুই সপ্তাহ হজ ক্যাম্পের ‘আইসোলেশন ইউনিটে’ থাকবেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর গত একমাসে প্রায় গোটা চিনে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৫৯ জন মারা গিয়েছেন। বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে এই ভাইরাস ঘিরে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট