চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘শঙ্কা নিয়েও’ ভোটের শেষ দেখতে চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ

নানামুখী আশঙ্কা সামনে রেখেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রক্রিয়া নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আপত্তি করলেও ভোটে শেষ পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। তবে, ভোট চলার সময় ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ও কেন্দ্রের আশপাশে নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘সদ্ভাব’ রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেকোনও অবস্থায় সংঘর্ষ এড়িয়ে চলতে হবে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে বিগত দশ বছরের চেয়ে ভিন্নতা এসেছে বলে মনে করেন অনেক নেতাকর্মী। বিশেষ করে বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত হয়েছে নির্বাচনি প্রচারণা। ঢাকা সিটি ভোটকে কেন্দ্র করে সেই সমস্যাটি খুব বড় হিসেবে সামনে আসেনি। বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিএনপি কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্যেও অনেকটা প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নেতাকর্মীরা মানুষের কাছে যেতে পেরেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় মুনাফা।’
দলের একাধিক দায়িত্বশীল জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি-প্রার্থীদের সঙ্গে যেভাবে মারমুখী আচরণ করা হয়েছে; এর আগে ২০১৫ সালে বিভক্ত ঢাকা সিটির প্রথম ভোটে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রচার-বহরে কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, ফকিরাপুল এলাকায় দফায় দফায় হামলা হলেও এবার সেরকম কিছু ঘটেনি। তবে, বিএনপির প্রার্থীরা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে শতাধিক অভিযোগ করেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় তুলনামূলক বাধা কম থাকলেও ঢাকা মহানগর নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘নির্বাচনের দুদিন আগে থেকেই আমাদের দলের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের অফিসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খোঁজ-খবর নিচ্ছে, হয়রানি করছে। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর বিভিন্ন অফিসে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা হানা দিয়েছেন। তার বক্তব্যই ছিল নেতাকর্মীদের ধরার জন্য। আমাদের পোলিং এজেন্ট, ছাত্রদল-যুবদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।’

শামা ওবায়েদ অভিযোগ করেন, ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে রাখতেই এসব অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ফলে আশঙ্কা থাকলেও আমরা পোলিং এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রেথাকা নিশ্চিত করতে চাই। আশা করবো নির্বাচন কমিশন ভোটারদের নির্বিঘেœ তার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাদের অতীতের কর্মকান্ড আমাদের আশ্বস্ত করে না।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট