চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আটকে গেল প্রাথমিকের আরো ৮০০ শিক্ষকের নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ জানুয়ারি, ২০২০ | ১১:৪৩ অপরাহ্ণ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কক্সবাজার জেলায় ঘোষিত চূড়ান্ত ফল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ জেলা থেকে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাওয়া প্রায় আট শতাধিক শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন।

কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা জুবলি ইয়াসমিন শান্তাসহ তিন জনের করা রিট আবেদনের শুনানিতে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট রাশেদুল হক খোকন। তার সঙ্গে ছিলেন, এডভোকেট মো. নাজমুল হোসেন।

আইনজীবী খোকন বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীনে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পৌষ্য তথা কোটা প্রার্থী এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। কিন্তু গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিকের ঘোষিত ফলের ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা জুবলি ইয়াসমিন শান্তাসহ তিন জন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।’

ওই রিটের শুনানিতে আদালত কক্সবাজার জেলার ফলের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।

এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি নীলফামারী ও বরগুনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই দিন নওগাঁ ও ভোলা জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ জানুয়ারি পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও সিরাজগঞ্জসহ ১৪ জেলাতে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১-৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কক্সবাজার জেলায় প্রায় সাড়ে আট শতাধিক পরীক্ষার্থী চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পান।

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট