চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত

করোনাভাইরাস

হোমিওপ্যাথিক প্রতিষেধক ও চিকিৎসা

মুহম্মদ নূরুল হুদা

১৪ মার্চ, ২০২০ | ১:২৯ পূর্বাহ্ণ

ক. হোমিওপ্যাথিক লক্ষণ-ভিত্তিক চিকিৎসা :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যে সব লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে জ্বর (নিউমোনিয়া), শুকনা কাশি, অবসন্নতা, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশিব্যথা, গিঁটব্যথা, কাঁপুনি প্রধান। এই লক্ষণ-সমষ্টি প্রধানত হোমিও অষুধ ব্রাইওনিয়া, রাস টক্স ও ব্যাসিলিনাম নির্দেশ করে।
খ. আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতিভেদে হিপার সালফ, ক্যালি কার্ব, কার্ব ভেজ, স্পন্জিয়া, আর্সেনিক, ক্রাটেগাস প্রভৃতি সম্পূরক নানা অষুধ লাগতে পারে।
গ. করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে সার্বদৈহিক পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই। সংক্রমণ এড়ানোর জন্য মানসম্মত মুখোশ ব্যবহার, হাতমুখ সাবান দিয়ে ধোয়া ও জনসমাগম এড়িয়ে চলা অত্যাবশ্যক।
পাশাপাশি নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে হোমিও অষুধ প্রতিষেধক হিসেবে সেবন করা যায়:
১. ব্যাসিলিনাম ১০০০ (বিটি/জার্মান) : সকাল বেলা খালি পেটে এক ডোজ সেব্য। এক সপ্তাহ পর পর চার সপ্তাহে মাত্র চার ডোজ। অষুধ শক্তি পরিবর্তন রীতিতে তৈরি করা বাঞ্চনীয়।
২. রাস টক্স ২০০ (বিটি/জার্মান) : সকাল বেলা খালি পেটে সেব্য, ১ ডোজ। অষুধ শক্তি পরিবর্তন রীতিতে তেরি করা বাঞ্চনীয়)।
৩. ব্রাইওনিয়া ২০০ (বিটি/জার্মান) : রাতে ঘুমানোর আগে সেব্য, ১ ডোজ। অষুধ শক্তি পরিবর্তন রীতিতে তৈরি করা আবশ্যক)।
ঘ. বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিজে নিজে অষুধ কিনে খাওয়া উচিত নয়।
কোনো রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথের কাছ থেকে অষুধ গ্রহণ ও তাঁর তত্ত্বাবধানে সেবন জরুরি।
ঙ. করোনা ভাইরাসের জন্য সন্ত্রস্ত না হয়ে সচেতন হোন। মুখোশ ব্যবহার ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা যায়। আক্রান্ত রোগী সুচিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট