চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রেওয়াজের শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান

টিআইসিতে তবলার বোলে মুখর

আশরাফুন নুর

২৭ এপ্রিল, ২০১৯ | ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ

রেওয়াজ তবলা শিক্ষা কেন্দ্রের ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত বার্ষিক শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান ২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুজ শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. হরিশংকর জলদাস। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রেওয়াজ তবলা শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক সুদীপ সেনগুপ্ত।
উদ্বোধক প্রফেসর ড. হরিশংকর জলদাস বলেন, তাল হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়কে নির্দিষ্ট ক্ষুদ্রভাগে ছন্দবদ্ধভাবে সাজিয়ে তাল যন্ত্রে বাদনের মধ্য দিয়ে তার পুনরাবৃত্তি ঘটানো। প্রকৃতিতে আমরা যা কিছু অবলোকন করি তার সবকিছুই ছন্দবদ্ধভাবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘটছে অর্থাৎ সবই তালবদ্ধ। তালযন্ত্রও আছে হরেক রকমের। তার মধ্যে তবলা অন্যতম। আর শুদ্ধ সঙ্গীতকে চলমান রাখার প্রত্যয়ে ‘রেওয়াজ তবলা শিক্ষা কেন্দ্র’ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে অনেকদিন ধরে এই নগরে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
উদ্বোধন পর্বের পর শুরু হয় অগ্রজ শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ‘ছন্দ’। তারা ত্রিতাল বিলম্বিত লয়ে সেলামি, পেশকার, কায়দা; মধ্যলয়ে গৎ, রেলা এবং দ্রুতলয়ে টুকরা পরিবেশন করেন। তাদের পরিবেশিত বিভিন্ন অঙ্গের বোল-বাণী মিলনায়তনপূর্ণ দর্শকশ্রোতাদের হৃদয় আন্দোলিত করে। এরপর কণ্ঠসংগীতে রাগ যোগ পরিবেশন করেন ফারুক আহম্মেদ। তিনি একতাল বিলম্বিত লয়ে এবং ত্রিতাল মধ্যলয়ে খেয়াল পরিবেশন করেন। যন্ত্রে ছিলেন হারমোনিয়ামে প্রত্যয় বড়–য়া অভি, তবলায় সানি দে এবং তানপুরায় তপন দাশ ও আল ইমরান। এরপর চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত সেতার ও মোহনবীণায় যুগলবন্দি পরিবেশনের জন্য মঞ্চে আসেন সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী ও দোলন কানুনগো। তাদের সাথে তবলায় সহযোগিতা করেন ভারত থেকে আগত তবলাশিল্পী সৌরভ বসু। যুগলবন্দি পরিবেশনে তাঁরা ত্রিতাল বিলম্বিত লয়ে বাগেশ্রী রাগে আলাপ, জোড় ও ঝালা বাজিয়ে শোনান। সবশেষে তাঁরা রাগ ভৈরবীতে দাদরা পরিবেশন করেন। তবলায় সৌরভ বসুর অসাধারণ সঙ্গতের মাধ্যমে সেতার ও মোহনবীণার যুগলবন্দি পরিপূর্ণতা পায়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সুদীপ সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রবীর পাল। উক্ত অনুষ্ঠানে বৃন্দ তবলা লহরাসহ শাস্ত্রীয় কণ্ঠ সংগীত ও যন্ত্র সংগীত (যুগলবন্ধি) পরিবেশিত হবে। পুরো অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট