চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের

মরিয়ম জাহান মুন্নী

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ২:৩০ অপরাহ্ণ

করোনার মধ্যেও ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। ঘনিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। প্রায় শেষ পর্যায় এসেছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কিন্তু এখনো রং তুলির আঁচড় পড়েনি প্রতিমার গায়ে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবারের দুর্গাপূজায় বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। কমেছে প্রতিমা তৈরির অর্ডার ও দাম। অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমেছে প্রতিমা তৈরির অর্ডার। প্রথম দিকে পূজা হবে কি হবে না এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শেষ মুহূর্তে এসে কিছু নিয়ম-কানন মেনে পূজোর বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে প্রশাসক ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
সরেজমিনে সদরঘাট বোস গলি লোকনাথ শিল্পায়নে দেখা যায়, ছোট-বড় মিলে প্রায় ২৯টি প্রতিমার কাজ চলছে। সব প্রতিমার কাঠামো তৈরি হলেও রং তুলির আঁচড় পড়েনি প্রতিমার গায়ে। এদিকে হাতে সময়ও খুব বেশি নেই। খুব ব্যস্ত সময় পার করাছে শিল্পীরা। লোকনাথ শিল্পায়নে শিল্পী অমল পাল বলেন, চট্টগ্রামের সেরা কিছু প্রতিমা আমিই তৈরি করি। প্রতি বছর কম হলেও ৫০ টি প্রতিমার অর্ডার আমি নিই। তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকার প্রতিমা তৈরি করি। এবারে শেষ মুহূর্তে আমার কাছে ২৯টি প্রতিমার অর্ডার পড়েছে। এবারের সবচেয়ে দামি প্রতিমাটির দাম হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। এটি নিচ্ছেন হালিশহর শাপলা সংঘ। গত বছর তারা তিন লাখ টাকার প্রতিমা নিয়েছেন। এবারে করোনার কারণে আর্থিক অনটনে দিন কাটাচ্ছে পূজার আয়োজন করা সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, এবারের পূজার চিন্তাধারা একেবারেই ভিন্ন। অন্যবারে নগরীতে বিভিন্ন থিম নিয়ে কিছু পূজা মন্ডপ তৈরি হত। যেগুলোতে খুব বেশি জনসমাগম হত। যা এবারে হচ্ছে না। করোনার কারণে জনসমাগম হওয়ার বিষয় খুব কড়াকড়িভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত বছর ২৫৮টি পূজা হয়েছে মহানগরীতে। এবার একই সংখ্যা রয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট