চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনা ঝড় থেকে ফিরে যা বললেন ভোক্তা অধিকারের শাহরিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

১২ জুন, ২০২০ | ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাস থেকে সপরিবারে মুক্ত হয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। সর্বশেষ ফলাফলে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে। গত ১৩ মে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের করোনা পজেটিভ  আসে। এরপর ২০ মে তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা এবং মেয়ে তাইফা নূহা আশী (১২) ও ছেলে তানজিন শাহরিয়ার আরিফের (১০) করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তারা বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নেন। এর আগে চতুর্থ দফা পরীক্ষায় গত ৩ মে শাহরিয়ারের কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে।

করোনামুক্ত হওয়ার পর তিনি নিজের ফেসবুক পেইজে লিখেন :

গত ২৭ মে থেকে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শরীর ব্যথাসহ বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় গত ২৮ মে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রথমে সিসিইউ ইউনিটে রাখা হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।

আমার আক্রান্ত ফুসফুস ও ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে; হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। কারণ ঝড় আপাত থেমেছে। আলহামদুলিল্লাহ কোভিড-১৯ রিপোর্ট ২৫ দিন পর পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর আজ তিনদিন হল Bangladesh Specialised Hospital এ ১১ দিন থেকে বাসায় এসেছি। মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করছি।

দেশবাসী, সুহৃদ ( ফ্রেন্ডস/ ফলোয়ার্স) অগ্রজ/ অনুজ সহকর্মীগণ, বন্ধুমহল, আত্মীয়স্বজন ও সর্বোপরি আমার ভাইবোনেরা ( যারা কাছ থেকে সেবা দিয়ে গিয়েছেন নির্ভয়ে) সবার প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ হতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ প্রশাসন পরিবারের প্রতি যারা প্রতি মুহূর্তে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছেন। বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সভাপতি / মহাসচিবসহ অন্য স্যার ও জুনিয়ররা প্রতি মুহূর্তে খোজ নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রজ সহকর্মী ও বন্ধুরা নিয়মিত খোজ নিয়েছেন।
আমার ২২ ব্যাচের বন্ধুরা প্রতি মুহুর্তে খবর নিয়েছে। বিশেষ করে ২২তম ফোরামের সভাপতি কাজী নিশাত রসুল নিয়মিত সাহস জুগিয়ে গেছে; সহোদর বোনের মতই।
মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সবসময় খোজ রেখেছিলেন ; তার প্রতি ও গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধেয় সচিব স্যার নিয়মিত খবর নিতেন; খাদ্য সচিব স্যার নিয়মিত খবর নিতেন, ফোন করে সাহস যোগাতেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সকল অগ্রজ স্যার ও অনুজরা নিয়মিত খবর নিয়েছেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের শ্রদ্ধেয় মহাপরিচালক যিনি নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি প্রতিটি দিন ফোন করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন ; স্যারের প্রতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। স্যার নিয়মিত মানসিক শক্তি ধরে রাখার জন্য প্রার্থনা সংগীত ও অন্যান্য গান এর লিংক প্রেরণ করতেব। আমাদের সবার পরম আত্নীয় হয়ে উঠা ডিজি স্যারের মিসেস বৌদি ও ইউএসএ থেকে নিয়মিত খবর নিয়েছেন। অধিদপ্তরের পরিচালক শামীম স্যার এর দোয়া সবসময়ই টের পাই। ভোক্তা অধিদপ্তরের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা; এরাও আমার একটি পরিবার। পারিবারিক অভিভাবক শ্রদ্ধেয় বড় ভাই সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ স্যার ও সিএমএইচের মেডিসিন বিভাগের প্রধান শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ব্রিগেডিয়ার হাবীব স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ব্যক্তিগতভাবে তাদের আন্তরিকতা ও মনোযোগ আমার ট্রিটমেন্টকে সহজ করেছে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রফেসর এ বি এম আবদুল্লাহ স্যারের প্রতি। তিনি সবসময়ই ভাইয়ের মাধ্যমে খবর নিয়েছেন, প্রয়োজনীয় ঔষধ দিয়েছেন।

আমার ডাঃ ভাই ও অন্য ভাইবোনদের ( যাদের আমি টেনশনে ফেলি বেশী, কষ্ট ও দিই) কথা এখানে নাই বললাম ( সেটা অন্য এক সময়ে জানাবো)।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি Bangladesh Specialised Hospital এর সিইও ও পরিচালক ইমরান ভাইসহ সকল ডাঃ, নার্স ও হেল্প এইডদের প্রতি। বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডার ধর্মীয় প্রধানসহ সর্বস্তরের মানুষ দোয়া / প্রার্থনা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ঘরের প্রতিটা মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমার স্ত্রীর উপর ঝড় বয়ে গেছে। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় সব সহ্য করতে পেরেছে। সন্তানদের জন্য আপনাদের দোয়া / প্রার্থনা আশীর্বাদ হয়ে থাকবে। রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি ; তিনি যেন সবসময় আমাকে প্রিয় জন্মভূমি ও এ দেশের মানুষের নিরন্তর সেবা করার তৌফিক দান করেন।আপনাদের দোয়া, ভালবাসা, সহমর্মিতা সারাজীবন পাথেয় হয়ে থাকবে। সবসময় দোয়া করবেন যেনো এই ভালবাসার মর্যাদা ধরে রাখতে পারি এবং সততার সাথে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মানুষের সেবা করতে পারি।

পূর্বকোণ/আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট