চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শওকত ওসমান

ব্যাংকিং পলিসি বড় শত্রু, দীর্ঘসূত্রতা বন্ধ করতে হবে

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

বিজয়ের ৫০ বছর পর আমরা এখনও আলোচনা করছি সংকট নিয়ে।
এটা আমাদের ব্যর্থতা। এই সংকট সমাধান করতে আমাদের সকলকে কাঁধে
কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকায় নিট পোশাক শিল্পের অগ্রগতি নি¤œমুখী আর চট্টগ্রামে নেই বললেই চলে। বিজেএমইএ’র তুলনায় বিকেএমইএতে বিনিয়োগ করতে হয় অনেক বেশি। এখানে ব্যাংকিং পলিসি আমাদের বড় শত্রু। ব্যাংকের দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ করতে হবে। যাতে উদ্যোক্তাদের ঝামেলা পোহাতে না হয়।

চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীদের মাঝে পুঁজি সংকটের কারণ সম্পর্কে শওকত ওসমান বলেন, কারণটা হচ্ছে সব ব্যাংকের সদর দপ্তর ঢাকায়। তাই পলিসি মেকিং হয় ঢাকা থেকে। আরএমজি সেক্টরে যারা ব্যবসা করছেন তাদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। প্রতিটা মুহূর্ত এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা থেকে অনুমতি নেয়া বা ব্যাংকের ‘কনজারভেটিব ইনভেস্টমেন্ট সিস্টেম’ আমাদের প্রবৃদ্ধি এবং রপ্তানি থামিয়ে দিচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরে জাজমেন্ট করার জন্য যে লোকবলের প্রয়োজন তা নেই বলে আমার মনে হচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টর যদি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা দিয়ে উদ্যোক্তাদের মূল্যায়ন করতেন তাহলে প্রবৃদ্ধি আরও কিছুটা বাড়বে। এছাড়া আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে অনেক উদ্যোক্তা ঋণ খেলাপি হচ্ছেন। এটিও একটি বড় ধরণের সমস্যা। বৃহত্তর ঢাকায় এ সমস্যায় পড়লে ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এর সমাধান করা হয়। কিন্তু চট্টগ্রামে এ সমস্যা সমাধানে সময় একটু বেশি লাগে। উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাণিজ্যিক রাজধানীগুলো আলাদা। যেমন আমেরিকাতে ব্যবসায়ীদের যেতে হয় নিউইয়র্কে। কেউ কিন্তু ওয়াশিংটনে যায় না।
ব্যাংকিং সেক্টরে আরো একটি দুর্বলতা রয়েছে সেটা হচ্ছে, কোন কারণে যদি আমাদের এক্সপোর্ট আটকে যায় সেই পয়সা ফেরত আনতে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের যথার্থ উদ্যোগ নেই। যে কারণে, অনেক উদ্যোক্তা মুখ থুবড়ে পড়ছেন এবং পড়বেন। এটা নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাজ করা উচিত। বৈদেশিক কোন পেমেন্ট দিতে দেরি হলে ব্যাংক যেভাবে এগিয়ে আসে সে হারে আমাদের পেমেন্ট আনার জন্য কোন ব্যাংক এগিয়ে আসে না। যা বড় একটি সমস্যা। এছাড়া এই খাতটিকে বাঁচিয়ে রাখতে টাকার চেয়ে সরকারের পলিসি সাপোর্ট বেশি প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট