চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জেএনইউতে সংহতি দীপিকাকে দিলীপ ঘোষের আক্রমণ

১০ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন নেতাদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছেন বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষসহ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে ইতোমধ্যে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ছপক’ বয়কটে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বিজেপির দিল্লি শাখার মুখপাত্র তেজেন্দর পাল। এবার দীপিকার বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি দিলিপ ঘোষ।

রবিবার জেএনইউতে একদল মুখোশধারী লোহার রড নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। হামলায় আহতদের বিরুদ্ধেই এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশি ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রাবাসের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় বাম ও ডানপন্থী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ তোলা হয়েছে। জেএনইউতে হামলার ঘটনায় ঐশীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
জেএনইউতে হামলার প্রতিবাদে বলিউডের অনেকেই সরব হয়েছেন। কিন্তু যেভাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সশরীরে ঐশীদের পাশে দাঁড়ালেন দীপিকা তা সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন।

জেএনইউতে সংহতি জানানোর ঘটনায় দিলিপ ঘোষ দীপিকাকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘আমি জানি না কেন গিয়েছিলেন তিনি। ওটা শ্যুটিংয়ের জায়গা না। আরও বিভ্রান্তি বাড়ানো যুক্তিসংগতও নয়। জেএনইউ যেতে পারেন, বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, অবশ্যই যাওয়া উচিত। যাতে ওখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, পড়াশোনার পরিবেশ ফেরে, সেদিকে সবার সচেষ্ট হওয়া জরুরি’।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেএনইউতে হাজির হন দীপিকা। তার হঠাৎ উপস্থিতিতে শোরগোল পড়ে যায় ভারতে। যদিও নিঃশব্দে ঐশী ঘোষদের পাশে থেকে সংহতি বার্তা দেন তিনি। ওই সময় ঐশীর সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাকে। তবে তিনি কোনও বক্তব্য রাখেননি। ১৫ মিনিট পরই জেএনইউ ছাড়েন দীপিকা। ওই সময় ঐশীদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারও।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট