চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হেগে দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য দিবেন সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে বক্তব্য দেবেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। 

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে সু চি যুক্তি দেখাবেন, এ বিষয়ে বিচার করার অধিকার আইসিজের নেই। খবর রয়টার্সের। 

এর আগে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানির প্রথম দিনে বক্তব্য উপস্থাপন করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। গাম্বিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে দেশের আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। 

শুনানিতে উপস্থিত থাকছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলও। ২০ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া তিন রোহিঙ্গাও রয়েছেন।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা ওই মামলায় শুনানি চলবে তিনদিন। মামলায় গণহত্যার আন্তর্জাতিক সনদ লঙ্ঘন করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে গাম্বিয়া আইসিজেতে ওই মামলা করে। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা প্রদান ও রাখাইনে গণহত্যার আলামত নষ্টের বিভিন্ন অভিযোগের ওপর এই শুনানি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গাম্বিয়া এবং বিকালে মিয়ানমার প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন ও চূড়ান্ত বক্তব্য পেশ করবে।

গাম্বিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেবেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। রুয়ান্ডা গণহত্যার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তামবাদু।

গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং কানাডার প্রতিনিধিরা শুনানির সময় পিস প্যালেসে থাকবেন। বাংলাদেশ-কানাডার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস নেপথ্যে থেকে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা করবে।

কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের পক্ষ থেকে সোমবার দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণহত্যায় দায়ীদের বিচার নিশ্চিতে গাম্বিয়ার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং এর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর কয়েক দশক ধরে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট, বাস্তুচ্যুতের ঘটনা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে হবে।

আইজিসেতে বিচারের মাধ্যমে গণহত্যায় দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিতে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস সচেষ্ট। অন্য সব দেশকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ ছাড়া আর্জেন্টিনার একটি আদালতেও রোহিঙ্গা গণহত্যায় সু চির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট