চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইমরানকে হটাতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ‘মাওলানা ডিজেল’র

অনলাইন ডেস্ক

৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মাওলানা ডিজেল। ইসলামাবাদে ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে ‘মাওলানা ডিজেল’খ্যাত ওলামা, ডানপন্থি জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম পার্টির প্রধান ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে চলছে বিশাল আন্দোলন। সে আন্দোলন থেকেই ইমরানকে পদত্যাগের জন্য দু’দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন মাওলানা ডিজেল। এর অন্যথা হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তিনি।  

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ‘আজাদি মার্চ’ নামে চলমান এ আন্দোলনে বক্তৃতাকালে এমন ঘোষণা দেন উলামা-ই-ইসলাম পার্টির নেতা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ইমরান খানের উদ্দেশ্যে এ আল্টিমেটাম দেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়। ২৭ অক্টোবর দক্ষিণের শহর করাচি থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘ এক পদযাত্রা শেষে গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোরের দিকে মাওলানা ডিজেল ও অন্য বিরোধী দলগুলোর হাজার হাজার অনুসারী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে জড়ো হয়। এরপর থেকে সেখানে তাদের অবস্থান ধর্মঘট চলছে।

বৃহস্পতিবার হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সামনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মাওলানা ডিজেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ছাড়া যেন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমঝোতাকারী আমাদের কাছে না আসে। (আমাদের কাছে) আসার কোনো দরকার নাই। যদি আসতেই হয়, তাহলে ক্ষমতার প্রাসাদ ত্যাগ করেই আসতে হবে। তোমরা (সরকার) আজ অন্ধগলির শেষ সীমানায়। এখন তোমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেখানেই থাকবে নাকি বাইরে বেরিয়ে এসে জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবে।’ বিরোধী রাহবার কমিটিও এ অবস্থায় সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। এ আন্দোলনে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলেরও সমর্থন রয়েছে। 

সরকারবিরোধী দলগুলো জানায়, গত বছর দেশটিতে হওয়া নির্বাচনে সেনাবাহিনী অবৈধ হস্তক্ষেপ করে। এবং কারচুপির মধ্য দিয়ে জেনারেলরা নিজেদের পছন্দের পাত্র ইমরান খানকে মসনদে বসায়। পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করতে প্রায়শই সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পর্দার আড়ালে থেকে নানা ধরনের চাল চালে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এসব অভিযোগ ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার (৬ নভেম্বর) সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর আব্দুল গফুর জানান, সেনাবাহিনী বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে এতো বেশি ব্যস্ত যে, রাজনৈতিক কোনো কিছু নিয়ে ভাবার সুযোগ তাদের নেই। 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন