চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সতর্কতা উপেক্ষা করেই বাগদাদে তীব্র বিক্ষোভ

ইরানি কনস্যুলেটে প্রবেশের চেষ্টা, ৩ ইরাকি বিক্ষোভকারী নিহত

৫ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:২২ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদির সতর্কতা উপেক্ষা করেই সোমবারের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

রবিবার রাতে আন্দোলনকারীদের প্রতি বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই বিক্ষোভ দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। গত কয়েক দিনের বিক্ষোভে কয়েকশ’ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া উচিত। কল-কারখানা, দোকানপাট ও বাজারগুলোতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা জরুরি। দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে এখনই বিক্ষোভ থামানো উচিত।
রাতে প্রধানমন্ত্রীর এমন সতর্কতার পরদিন সোমবার ফের আন্দোলনকারীরা নতুন করে রাজপথে নামেন। রাজধানীর কেন্দ্রস্থল বাগদাদ স্কয়ারে সমবেত

হন তারা।

তেলসমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ইরাকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন পানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকেও বঞ্চিত তারা।
সোমবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বলেন, তরুণরা অর্থনৈতিক সংকট ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেছে। আমরা এই রাজনৈতিক অভিজাতদের পুরোপুরি নির্মূল করতে চাই। এই চক্র থেকে মুক্তি মিললে তবেই কেবল আমরা বিশ্রাম নিতে পারি।

গত কয়েক মাস ধরে বাগদাদের দুই মিত্র ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইরাকের রাজনীতি ও সামরিক ক্ষেত্রে এই দুই দেশেরই প্রভাব রয়েছে। ফলে বহু ইরাকি নাগরিকের আশঙ্কা, আঞ্চলিক প্রভাবের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের মাঝে পড়ে যেতে পারে বাগদাদ। বিক্ষোভকারীরা এখন বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলছে।

এদিকে ইরাকের বিক্ষোভকারীরা কারবালায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে। রবিবার টায়ার জ্বালিয়ে ও কারবালা থেকে ইরানকে চলে যাওয়ার স্লোগানে একদল বিক্ষোভকারী কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হয়। তারা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী গুলি ছুড়ে। সোমবার নিরাপত্তা ও হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শেয়ার করুন