চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সিরীয় শহরের বিশাল অংশ তুর্কি বাহিনীর দখলে, পালাচ্ছে আইএস পরিবারগুলো!

মধ্যস্থতায় আগ্রহী ইরান

১৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। গত শনিবার তেহরান জানিয়েছে, কুর্দি, সিরীয় সরকার ও তুরস্কের মধ্যে মধ্যস্থতায় আগ্রহী ইরান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ২১ বছর পূর্বে সিরিয়া ও তুরস্কের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির কথা তুলে ধরেন। ওই চুক্তিতে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধাদের সিরীয় ভূখ-ে অবস্থান করতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। তুরস্কের দাবি, ওই চুক্তিটি কখনও বাস্তবায়িত হয়নি। জাভেদ জারিফ বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যকার আদানা চুক্তি এখনও বিরাজ করছে। এটাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো পথ হতে পারে। সিরীয় কুদি, সিরীয় সরকার ও তুরস্ককে আলোচনায় বসাতে সহযোগিতা করতে পারেন ইরান। যাতে করে সিরীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুরস্কও সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করতে পারে।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সুলুক শহরের বিশাল অংশ তুরস্ক ও এর সিরীয় মিত্র বাহিনীর দখলে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। সংগঠনটি গতকাল রোববার জানায়, তুরস্কের সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে সুলুক শহরে প্রবেশ করেছে তুরস্ক বাহিনী ও তাদের মিত্র সিরীয় বিদ্রোহীরা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু বলেছে, বিদ্রোহীরা সুলুক শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সুলুক শহরটি সিরিয়ার সীমান্ত শহর তেল আবায়িদ এর দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। তুরস্ক বাহিনী রোববার সকালে এ শহরে বোমা বর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

কুর্দি মিলিশিয়াদের সঙ্গে তুরস্কের সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াইয়ের ফাঁকে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহরের বন্দিশিবির থেকে পালিয়েছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নিহত যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা। কুর্দি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গতকাল রোববার আল-আরাবিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বন্দিশিবির থেকে আইএস পরিবারগুলোর ১০০ সদস্য পালিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ সিরিয়ায় কুর্দি নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলেছে, ‘রাকার উত্তরে আইন ইসা শিবিরে গোলাবর্ষণের মানে হচ্ছে দায়েশ (আইএস) সংগঠনটিকে পুনর্জীবন দেওয়া।’ গত মঙ্গলবার থেকে সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। কুর্দি ও তুর্কি বাহিনীর মধ্যে এ যাবৎকালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াই বলা
হচ্ছে একে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট