চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাশিয়ার উড়োজাহাজে আগুনের কারণ ‘বজ্রপাত’

৭ মে, ২০১৯ | ২:১০ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার এরোফ্লোট এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরার ঠিক আগে সেটির উপর বজ্রপাত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও ক্রুরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা নিজেদের ভয়াবহ ওই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর জানায়।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন পেত্র এগোরোভ বলেন, উড়োজাহাজটি মাত্র আকাশে উড়েছে, তখনই সেটির উপর বজ্রপাত হয়। সেটি যেভাবে রানওয়েতে অবরতণ করেছেৃৃ আতঙ্কে আমি প্রায় মারা যাচ্ছিলাম। আরেক যাত্রী মিখাইল সাভচেঙ্কো বলেন, জরুরি বহির্গমন পথ দিয়ে লাফিয়ে পড়ে তিনি নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
মস্কোর শেরেমেতিয়েভ বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ‘যান্ত্রিক গোলযোগের’ কথা জানিয়ে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাহায্যের আবেদন করেন এবং জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন। বিমানবন্দরে আছড়ে পড়ার পরপরই সুখোই সুপারজেট-১০০ উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যে সেটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়।-বাংলানিউজ
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। উড়োজাহাজটিতে মোট ৭৩ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন। উড়োজাহাজটির মস্কো থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর মুরমাস্কে যাওয়ার কথা ছিল। বেঁচে যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ৩৩ জন যাত্রী এবং চার জন ক্রু বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা ইয়েলেনা মার্কোভস্কায়া। তবে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বজ্রপাতের কথা বললেও দুর্ঘটনার তদন্তকারীরা এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। উড়োজাহাজটি যখন আকাশে ওড়ে তখন আবহাওয়া খারাপ ছিল এবং বজ্রপাতের কারণে পাইলট বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংযোগ হারিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া ক্রুরা। যদিও আধুনিক উড়োজাহাজগুলো এমনভাবে তৈরি যে সেগুলো বজ্রপাতে পরও আকাশে উড়তে সক্ষম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট