চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কী চমক থাকছে বাইডেনের মন্ত্রীসভায়

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০২০ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় লাভ করার পর বাইডেনের মন্ত্রীসভা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। এরমধ্যে একদল ঝানু ও দক্ষ রাজনীতিককে নিয়ে চমক দেখাতে চান জো বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্বে আবারো যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্বের আসনে বসাতে চান। বিভক্ত মার্কিনিদের ঐক্যবদ্ধ করতে চান।

আজ আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। বাইডেনেরে মন্ত্রীসভায় অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এন্টনি ব্লিঙ্কেন নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বলে আগেই চাউর হয়ে গেছে। এ ছাড়া তিনি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বলে জো বাইডেনের অন্তর্বর্তী টিম জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। জো বাইডেন প্রশাসনে জলবায়ু বিষয়ক দূতের পদ পেতে যাচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ২০১৬ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে তিনিই স্বাক্ষর করেছিলেন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পদ পেতে যাচ্ছেন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার জ্যানেট ইয়েলেন।

ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেতে চলেছেন এভরিল হেইন্স। তিনি সিআইএ’র সাবেক উপপরিচালক এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি উপদেষ্টা।

এছাড়া হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রথম ল্যাতিনো হিসেবে অ্যালেজান্দো মায়োরকাস। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে তিনি ছিলেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ডেপুটি সেক্রেটারি।

হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নাম এসেছে জ্যাক সুলিভানের। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ছিলেন জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা।

ওদিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে দীর্ঘদিনের কূটনীতিক লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনিও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি আফ্রিকা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
জো বাইডেনের অন্তর্বর্তী টিম বলেছে, জন কেরিকে জলবায়ু বিষয়ক দূত বানানো হলে তিনি সার্বক্ষণিকভাবে এই ইস্যুতে লড়াই করতে পারবেন। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে তিনিই প্রথম আত্মনিবেদিত কর্মকর্তা, যিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জোরালো কথা বলেছেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালে প্যারিসে জলবায়ু বিষয়ক চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে তিনিই স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তিকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর জো বাইডেন। এই চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুতি দেয়া দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত পর্যায়ে আটকে রাখার জন্য কাজ করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে এই চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জো বাইডেন বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তারা এই চুক্তির সঙ্গে আবার যুক্ত হতে চান। সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে আদ্যোপান্ত জানা জন কেরি হবেন তার পছন্দের ব্যক্তি।

২০১৯ সালে জন কেরি বিশ্ব নেতা ও সেলিব্রেটিদের নিয়ে গঠন করেছেন একটি জোট। এর নাম দিয়েছেন ‘ওয়ার্ল্ড ওয়্যার জিরো’। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে এবং কার্বন নির্গমন শূন্যতে নামিয়ে আনা তাদের লক্ষ্য।
তাকে জলবায়ু বিষয়ক দূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে এ খবরে সোমবার তিনি টুইট করেছেন। তাতে জন কেরি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই এমন একটি সরকার পাচ্ছে, যে সরকার জলবায়ু বিষয়ক সঙ্কট নিয়ে কাজ করবে এবং এই ইস্যুটি জরুরি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি হুমকি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন