চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইথিওপিয়ায় আটকা পড়েছেন ১০৪ বাংলাদেশি পোশাককর্মী

অনলাইন ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০২০ | ১:২৩ অপরাহ্ণ

যুদ্ধকবলিত ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে আটকা পড়েছেন ১০৪ বাংলাদেশি পোশাককর্মী। সেই অঞ্চল থেকে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছে নিয়োগকারী কোম্পানি ডিবিএল গ্রুপ।

ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেছেন, ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র কারখানা চত্বরে এরই মধ্যে বোমা মারা হয়েছে। আমাদের কর্মীরা নিরাপদে রয়েছেন। তাদেরকে যুদ্ধকবলিত এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আমরা সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। টাইগ্রে অঞ্চলের অবস্থা এখনও অস্থিতিশীল।

উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়। সেই সুবিধা পাওয়ার জন্য ডিবিএল গ্রুপ ইথিওপিয়ায় তাদের একটি নিটওয়্যার কারখানা খুলেছে। এটি সেখানকার তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এটি ২০১৮ সাল থেকে অপারেশনে গিয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলো যেমন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি সুবিধা পায়, বাংলাদেশ এখন আর সেই সুযোগ পায় না। বাংলাদেশের জন্য ২০১৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র এই সুবিধা জিপিএস (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) স্থগিত রেখেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে কারখানা রয়েছে ডিবিএলের। এতে তন্তু থেকে পোশাক তৈরি করেন প্রায় ৩৮ হাজার শ্রমিক।

এদিকে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ মিশনে মনোনীত রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম জানান, ইথিওপিয়ায় আটকাপড়া এসব বাংলাদেশি শ্রমিককে অন্যত্র সরিয়ে নিতে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব কর্মীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইথিওপিয়ার অস্থির টাইগ্রে অঞ্চলে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে এতে সেখানে কয়েক শত মানুষ মারা গেছেন। ইরিত্রিয়া এবং সুদান সীমান্তের মধ্যবর্তী অঞ্চলে এর অবস্থান হওয়ায় সেখানে একটি নতুন গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটা হবে আফ্রিকার দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ। ২০১৮ সাল থেকেই সেখানে শত শত মানুষ মারা গিয়েছেন।

ওদিকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘ জানায়, ত্রাণ সংস্থাগুলো দুর্গত এলাকাগুলোতে খাদ্য, স্বাস্থসেবা এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহ পৌঁছে দিতে পারছে না। এর ফলে সেখানে নতুন করে এক শরণার্থী সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে। সেখানে খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশি কোম্পানি ডিবিএল কর্তৃপক্ষ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট