চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির‘র প্রভাব খুবই সামান্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির‘র প্রভাব খুবই সামান্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ অক্টোবর, ২০২০ | ১০:০৭ অপরাহ্ণ

এক গবেষণায় দেখা গেছে, বহুল আলোচিত করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভির সেবনে রোগীর হাসপাতালে অবস্থানের মেয়াদ কমা বা জীবনরক্ষায় প্রভাব খুব সামান্য বা তা কোনো প্রভাবই ফেলে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গবেষণায় এ তথ্য ওঠে এসেছে।

আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ট্রায়ালে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়াড সায়েন্সেস ইনকর্পোরেশন উৎপাদিত রেমডেসিভিরের প্রভাব সম্পর্কে এই অভিমত পাওয়া গেছে। চারটি ওষুধ নিয়ে কাজ করা এই গবেষণায় রেমডেসিভির ছাড়াও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, এইডসনিরোধী লোপিনাভির/রিটোনাভির এবং ইন্টারফেরনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) জানায়, গবেষণায় দেখা গেছে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের হাসপাতালে অবস্থানের সময় কমানো বা মৃত্যু ঠেকাতে ওষুধগুলো সামান্যই প্রভাব রেখেছে বা কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেনি। এখনও এই গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা না হলেও তা মুদ্রণ পূর্ববর্তী সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে।

গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র রেমডেসিভিরের সহায়ক ভূমিকার ‘সুস্পষ্ট’ প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করে। পরে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) থেকে জরুরি অনুমোদন পায় রেমডেসিভির। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশও ইবোলা ঠেকাতে তৈরি হওয়া এই ওষুধ করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রে রেমডেসিভিরের কার্যকারিতা নিয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে গিলিয়াড পরিচালিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়, ‘প্লাসেবো’ সেবনকারীদের তুলনায় এই ওষুধ সেবনকারীরা অন্তত পাঁচ দিন আগে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এক হাজার ৬২ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই প্রমাণ পাওয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গবেষণাকে ‘খাপছাড়া’ আখ্যায়িত করেছে। গবেষণার তথ্য-উপাত্ত এখনও রিভিউ না হওয়ার বিষয়টি সামনে এনেছে তারা।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট