চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ অক্টোবর, ২০২০ | ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে  নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চলকে ঘিরে শুরু হওয়া সংঘাতে সম্মত হয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। শনিবার দুপুর থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আহ্বানে মস্কোয় শান্তি আলোচনায় বসে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। বৈঠকে ওই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও অংশ নেন। খবর বিবিসির।

মস্কোর স্থানীয় সময় রাত ৩টার আগে আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির ঘোষণা দেন।

নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এজন্য দুদেশ পরস্পরকে দায়ী করেছে।

আন্তর্জাতিকভাবে অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত, কিন্তু ১৯৯০’র দশক থেকে নৃতাত্ত্বিক আর্মেনীয়রা নিয়ন্ত্রণ করছে।

নতুন করে জড়িয়ে পড়া লড়াইয়ে দুই প্রতিবশীর সংঘর্ষে সেনা সদস্যসহ এ পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

আজারবাইজানের দখলীকৃত ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে আর্মেনিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশ দুটির প্রতিবেশী ইরানও। একইসঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে বলেছে।

মস্কোতে শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে টানা ১০ ঘণ্টা ওই শান্তি আলোচনা চলে। বৈঠকে দুই দেশ সময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

বন্দিবিনিময় ও লাশ হস্তান্তরসহ এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য শনিবার আবারও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

আগেরদিন দেশটি আজারবাইজানের বিরুদ্ধে নাগারনো-কারাবাখের একটি ঐতিহাসিক ক্যাথেড্রালে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলাবর্ষণেরও অভিযোগ করেছিল। গোলায় শুশা শহরের হোলি স্যাভিয়ার ক্যাথেড্রালের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার আজারবাইজানও তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গাঞ্জে ও গ্রোনবয় অঞ্চলে আর্মেনীয় বাহিনীর গোলাবর্ষণ এবং অন্তত একজন বেসামরিক নাগরিক নিহতের কথা জানায়।

সাম্প্রতিক এ সংঘাতে ৭০ হাজার জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চলের অর্ধেক বাসিন্দাই বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট