বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নমুনা সংগ্রহের পর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম এমন একটি পরীক্ষা বিশ্বজুড়ে চালু করতে যাচ্ছে। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস এ তথ্য জানান। খবর বিবিসি’র।

তিনি বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর করোনা শনাক্তের ক্ষমতা এই পরীক্ষার ফলে নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাবে। এই কিট মাত্র পাঁচ মার্কিন ডলার ব্যয় করে সংগ্রহ করা যাবে।

বর্তমানে করোনাভাইরাস শনাক্তে প্রচলিত পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত অনেক সময় লেগে যায়। এতে বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটির বিস্তাররোধে নেয়া নানামুখী পদক্ষেপ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও মেক্সিকোর মতো উচ্চ সংক্রমণ হারের দেশগুলোতে প্রকৃত প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে এই পরীক্ষার হার তাল মেলাতে পারছে না।

তবে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস জানিয়েছেন, নতুন উদ্ভাবিত সহজে বহনযোগ্য ও সহজে ব্যবহারযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতিটি ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানিয়ে দিতে পারবে। দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে ওষুধ উৎপাদনকারী দুই কোম্পানি এবোট ও এসডি বায়োসেনসর আগামী ছয় মাসে ১২ কোটি নতুন কিট তৈরি করতে সম্মত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তি অনুযায়ী নতুন এই কিট লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশসহ ১৩৩টি দেশে সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে লাতিন আমেরিকায় করোনা মহামারিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।

এই ঘটনা বড় মাইলফলক আখ্যা দিয়েছে ড. টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, এটি তাদের পরীক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। বিশেষ করে যেখানে সংক্রমণের হার বেশি সেই এলাকার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরীক্ষা বিস্তার ঘটাতে সক্ষম করবে। যেসব এলাকায় পৌঁছানো কঠিন বা পরীক্ষাগার সুবিধা নেই কিংবা পরীক্ষা করতে পারার মতো প্রশিক্ষিত যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী নেই, সেসব এলাকায় এটি পরীক্ষার বিস্তার ঘটাবে।

পূর্বকোণ/আরপি