চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনা: তিন মাস বাড়ল ঋণ পরিশোধের সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ

ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি না করার সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনার কারণে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেউ ঋণ পরিশোধ না করলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জারি করে দেশে অবস্থিত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ কারণে ১ জানুয়ারিতে ঋণের শ্রেণি মান যা ছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই ঋণ এর চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণি মান উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে। চলমান ও তলবি ঋণের মেয়াদ বিদ্যমান মেয়াদ থেকে ১২ মাস অথবা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ (যেটি আগে ঘটে) পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া ওই সময়ে আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিদ্যমান মেয়াদি ঋণের বিপরীতে চলতি বছরে প্রদেয় কিস্তিগুলো বিলম্ব হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ওই ঋণের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হবে। পুনর্নির্ধারণকালে চলতি বছরে যতসংখ্যক কিস্তি প্রদেয় ছিল, তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরে কোনো কিস্তি পরিশোধিত না হলেও ওই কিস্তিগুলোর জন্য মেয়াদি ঋণগ্রহীতা কিস্তি খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এই সুবিধা চলাকালীন ঋণের ওপর সুদ আরোপের ক্ষেত্রে অন্য নীতিমালা বলবৎ থাকবে। ফলে পুনঃতফসীলকরণ, এককালীন শোধসহ যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিনিষেধ রয়েছে, সেসব ঋণের বিপরীতে নগদ আদায় ছাড়া আরোপিত সুদ ব্যাংকগুলো আয় খাতে নিতে পারবে না। ওই সময়ে ঋণের ওপর কোনো ধরনের দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করতে পারবে না।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো গ্রাহকের এসব সুবিধা গ্রহণের প্রয়োজন না হলে পূর্বনির্ধারিত পরিশোধসূচি অনুযায়ী অথবা ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। এই সময়ের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে নির্দেশনা প্রদান করা হবে। বিশেষ সুবিধার কারণে অপরিশোধিত এসব ঋণের ওপর আরোপিত সুদ ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর ও প্রভিশন সংরক্ষণ বিষয়ে পরে নির্দেশনা দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর গত ১৯ মার্চ সার্কুলার জারি করে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেউ ঋণ পরিশোধ না করলে তাকে খেলাপি না করতে বলা হয়। পরে সময় বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এখন আরেক দফা সময় বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হল।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট