চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আগামী বছরের শুরতেই পাওয়া যাবে করোনার টিকা: সিনোভ্যাক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:২১ অপরাহ্ণ

কোভিড-১৯-এর একটি কার্যকরী টিকা আগামী বছরের শুরুর দিকেই বিশ্বজুড়ে জনগণের জন্য পাওয়া যেতে পারে। চীনা ফার্মাসিউটিক্যাল সিনোভ্যাক বায়োটেকের বৃহস্পতিবার তাদের টিকাটি নিয়ে এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মী (সিইও) ইয়িন ওয়েডং জানিয়েছেন, টিকাটি মানবদেহে পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে ব্যবহারযোগ্য প্রমাণিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে টিকাটি বিক্রি করার আবেদন করবেন তারা।

ইয়িন আরো বলেন, ইতিমধ্যে নিজেই পরীক্ষামূলক টিকাটি গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের দক্ষিণাংশে অবস্থিত সিনোভ্যাকের টিকা উৎপাদনকারী প্রকল্প পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
সিনোভ্যাক গত মার্চ মাসে বেইজিংয়ে বিশেষায়িত কোভিড-১৯ ল্যাব স্থাপন শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সম্ভাব্য টিকা উৎপাদনে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইয়িন দাবি করেছেন, টিকা দেওয়ার সাতটি পৃথক পদ্ধতি বের করেছেন গবেষকেরা। তাঁদের ‘ইনঅ্যাকটিভেটেড টিকা’ অধিক কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিশ্বের সব ধরনের সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী সক্ষমতা দেখিয়েছে এই টিকা।

সিনোভ্যাক সিইও বলেন, একেবারে শুরুতে আমাদের পরিকল্পনা কেবল চীন ও উহানকে ঘিরেই ছিল। তবে জুন ও জুলাইয়ে আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে, পুরো বিশ্বকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় টিকাটি সরবরাহ করা।

ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। ব্রাজিল, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়ায় ইতিমধ্যে ২৪ হাজারের বেশি মানুষের ওপর চালানো হচ্ছে এসব ট্রায়াল। বাংলাদেশ ও চিলিতেও টিকাটির ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া, চীনে স্বল্প পরিসরে শিশু ও বয়স্কদের ওপরও টিকাটি প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে সিনোভ্যাকের।

ইয়িন জানান, যেসব দেশে টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হবে সেসব দেশের কাছে টিকাটি আগে সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে টিকাটির বাজারজাতকরণের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। সিনোভ্যাকের বেইজিংস্থ প্রকল্পে ছোট ছোট শিশিতে ভরা হচ্ছে পরীক্ষামূলক টিকাটি। প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চের মধ্যে টিকাটির কয়েক কোটি ডোজ উৎপাদন করতে পারবে তারা।

প্রসঙ্গত, সিনোভ্যাকের টিকাটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ ধাপ পাস করেনি। তবে ইতিমধ্যেই চীনে কয়েক হাজার মানুষের ওপর এটি জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়েছে। ইন জানান, তিনি নিজের টিকাটি গ্রহণ করেছেন। এছাড়া, সিনোভ্যাকের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীও টিকাটি গ্রহণ করেছে।

ইয়িন বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমাদের গবেষণা যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ দেশগুলোর কভিড-১৯ টিকার মানদণ্ড পূরণ করতে পারবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন