১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরে ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় রায় লক্ষ্মৌর বিশেষ আদালতে ৩০ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে। ৯২ বছর বয়সী আদভানিসহ ৩২ জন অভিযুক্তকেই রায় ঘোষণার দিন আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে, অভিযুক্ত আদভানি ও জোশি দুজনই মসজিদ ধ্বংসে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
লক্ষ্ণৌর বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদবের গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর নেয়ার কথা থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট তার মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।
এর আগে ২০০১ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট আদভানি ও অন্যদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সরিয়ে দেয়ার নির্দেশও দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দেয়।
সিবিআই’র আরজি মেনে ফের আদভানিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ চাপানো হয়। সেই সময়েই প্রতিদিন শুনানি করে দুই বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ওই নির্দেশের আগে লক্ষ্ণৌয় করসেবকদের বিরুদ্ধে এবং রায়বরেলীতে আটজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই রায়বরেলীর মামলাও লক্ষ্ণৌর আদালতে সরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছে। রামমন্দিরের শিলান্যাসও হয়ে গেছে। কিন্তু সেই মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল। যা অন্যায় হয়েছিল।
পূর্বকোণ/এএ