চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হোয়াইট হাউসে ইসরাইল-ইউএই-বাহরাইন শান্তি চুক্তি সই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের একসময়কার দখলদার শক্তি হিসেবে বিবেচিত ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সই করেছেন বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ চুক্তিকে ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুরে হোয়াইট হাউসে তিন দেশের এ চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠান হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘কয়েক দশকের বিভক্তি এবং সংঘাতের পর আমরা নতুন এক মধ্যপ্রাচ্যের উত্থানের সূচনা করছি। আজ আমরা এখানে জড়ো হয়েছি ইতিহাস বদলে দিতে।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই দিনটি ইতিহাস পরিবর্তনের ক্ষণ, শান্তির নতুন দিগন্তের সূচনা।’

ফিলিস্তিনি নেতারা অবশ্য মনে করেন, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর দখলকৃত অঞ্চল থেকে ইসরায়েল সরে গেলেই কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

এই চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে পুরোপুরি স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হল। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিশর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুব শিগগিরই আরও অন্তত পাঁচ/ছয়টি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তির পথ অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে ফিলিস্তিনিরা ইসলায়েলের সঙ্গে তাদের সংঘাতের সামাধান না হওয়া পর্যন্ত কাউকে এমন চুক্তি না করার আহ্বান জানিয়েছে।

আরব দেশগুলো কয়েক দশক ধরেই ইসরায়েলকে বয়কট করে এসেছে। তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে তাদের শর্ত ছিল, আগে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধের অবসান ঘটতে হবে।

আর এখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারের বিষয়টির পাশাপাশি তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকাশ নিয়ে উদ্বেগের কারণে আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করল বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সমবেত অতিথিদের উদ্দেশে ট্রাম্প এই চুক্তির প্রশংসায় বলেছেন, “কয়েক দশকের বিভক্তি এবং সংঘাতের পর আমরা নতুন মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রা শুরু করলাম। আমরা আজ ইতিহাসের পথপরিক্রমা বদলে দিতে এখানে সমবেত হয়েছি।”

ওদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আজ ইতিহাসের নতুন অধ্যায় শুরুর দিন। এর মধ্য দিয়ে শান্তির নতুন ভোরের সূচনা হল।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এ চুক্তিকে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে সব ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষই একযোগে শান্তি ও সমৃদ্ধির মধ্যে বাস করবে। আজ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের তিনদেশ একসঙ্গে কাজ করতে চলেছে; তারা এখন বন্ধুও, বলেন ট্রাম্প।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন