চীনের সর্ববৃহৎ ব্যাংকগুলোর বিগত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মুনাফা সর্বোচ্চ হ্রাস পেয়েছে। চীনজুড়ে এসব ব্যাংকের দেয়া ঋণ অনাদায়ী থেকে যাওয়ায় মুনাফায় এমন পতন দেখা গেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর আয়-ব্যয়ের বিবরণী আজ রবিবার (৩০ আগস্ট) প্রকাশ পেলে এ চিত্র ফুটে ওঠে। খবর ব্লুমবার্গের।

আয়-ব্যয় বিবরণী অনুযায়ী বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঋণদাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড, চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক চায়না কন্সট্রাকশন ব্যাংক করপোরেশন, এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না এবং ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড; প্রতিটি ব্যাংকেরই এ বছরের প্রথমার্ধে মুনাফা কমেছে কমপক্ষে ১০ শতাংশ।

উল্লিখিত এই চার ব্যাংকে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৭ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত। করোনার বিস্তার রোধে বৃহৎ পরিসরে সবকিছু বন্ধ থাকায় ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার মুখে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচাতে চীনের ৪৫ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সামনের সারিতে ঠেলে দেয়া হয়।

মহামারির কারণে ধুঁকতে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায় খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো, সস্তায় তহবিল সরবরাহ এবং ব্যাংকের দেয়া ঋণের অর্থ আদায়ের সময়সীমা বৃদ্ধির কারণে কর্তৃপক্ষকে তাদের ঋণদাতাদের দেড় লাখ ইউয়ান (চীনের মুদ্রা) বা দুই হাজার ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন থেকে বঞ্চিত রাখতে হয়েছে।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার (আইসিবিসি) এ বছর নিট মুনাফা ১৪৮.৮ বিলিয়ন ইউয়ান। ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৬৭.৯ বিলিয়ন। গত বছরের ১৫৪.২বিলিয়ন ইউয়ানের তুলনায় চায়না কন্সট্রাকশন ব্যাংক করপোরেশন (সিসিবি) এ বছরের প্রথমার্ধে ১৩৭.৬ বিলিয়ন ইউয়ান মুনাফা করেছে।

এ ছাড়া গত বছর এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না যেখানে মুনাফা করেছিল ১২১.৪ বিলিয়ন ইউয়ান; এ বছরের প্রথমার্থে তা কমে হয়েছে ১০৮.৮ বিলিয়ন ইউয়ান। আর ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড (বিওসি) এ বছর মুনাফা করেছে ১০০.৯ বিলিয়ন, বিপরীতে গত বছর একই সময়ে ১১৪ বিলিয়ন মুনাফা ছিল ব্যাংকটির।

পূর্বকোণ/আরপি