চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধের আদেশ ঠেকাতে ‘নো ব্যান এক্ট’ বিল পাশ

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধের আদেশ ঠেকাতে ‘নো ব্যান এক্ট’ বিল পাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০২০ | ৩:২৭ অপরাহ্ণ

‘নো ব্যান এক্ট’ নামে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাশ হয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার (ভিসা) হরণে ফের যাতে কেউ ‘বিশেষ নির্বাহী আদেশ’ জারি করতে না পারেন সেজন্য এ বিল পাশ হয়েছে বলে জানা যায়।

‘নো ব্যান এক্ট’ বিলের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশিদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং। বিলটি বুধবার প্রতিনিধি পরিষদে ২৩৩-১৮৩ ভোটে পাশ হয়। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষেও বিলটি পাশ করার জন্য সেনেট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এটি সিনেটেও পাশ হলে পাঠানো হবে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য। তবে তা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেক্ষেত্রে পুনরায় দুই তৃতীয়াংশ ভোটে বিলটি পাশ করতে হবে কংগ্রেসকে। তাহলেই ট্রাম্পের ভেটো অকার্যকর হয়ে বিলটি আইনে পরিণত হতে পারবে।

আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হতে পারলে ফের যদি আরও বেশি সংখ্যক মুসলিম অধ্যুষিত দেশসহ ট্রাম্পের ‘অপছন্দের’ কিছু দেশের নাগরিকদের ভিসা নিষিদ্ধের আদেশ জারি করেন, সেই শঙ্কা থেকেই এই বিল পাশ করা হয়েছে।

প্রতিনিধি পরিষদের সব ডেমোক্রেট সদস্যদের ভোটে বিলটি পাশের পর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে গ্রেস মেং বলেন, “মুসলমানরা হল কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, বিশেষ করে কুইন্সে বসবাসরতরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করছেন। এই অঞ্চলকে সমৃদ্ধশালী করতে তাদের অবদানের পরিক্রমা জাতীয় উন্নয়নকেও ত্বরাণ্বিত করছে। এ অবস্থায় আমাদের সকলকে ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষপূর্ণ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

“কারণ এমন ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব কোনোভাবেই সুন্দর মনের প্রকাশ ঘটায় না। এমন নিষ্ঠুরতাকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানও প্রশ্রয় দেয় না। আমি সেনেটের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি অবিলম্বে ‘নো ব্যান অ্যাক্ট’ বিলটি পাশের জন্যে।”

প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাশ হওয়ায় সন্তোষ জানিয়েছে মুসলিম বার এসোসিয়েশন অব নিউ ইয়র্ক। বিলটি উত্থাপনের জন্য গ্রেস মেংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যেই ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, চাদ, উত্তর কোরিয়া, নাইজেরিয়া, সুদান, মিয়ানমার ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন। সেই আদেশের বাস্তবায়ন ঝুলে রয়েছে আদালতের নির্দেশে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন