চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের হুমকি ট্রাম্পের
বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের হুমকি ট্রাম্পের

বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের হুমকি ট্রাম্পের

২ জুন, ২০২০ | ১:১৯ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে গত সোমবার জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের হাতে খুন হওয়াকে কেন্দ্র করে  পুরো শহরজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ও বর্ণবাদের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।

এদিকে গতকাল সোমবার (১ জুন) বিক্ষোভ দমনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনা অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

 

ট্রাম্প জানান, সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোর মেয়র ও রাজ্যগুলোর গভর্নররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সেনা মোতায়েন করে ‘তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধান’ করা হবে। ।

টানা সপ্তম দিনের মতো সোমবারও (১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবগুলো শহরেই বিক্ষোভ-সহিংসতা অব্যাহত ছিল। ২০টি রাজ্যের ৪০টি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি ছিল। বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্রস্থল নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পর্যন্ত কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সংবাদ সম্মেলনে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ‘দাঙ্গাবাজ, লুটেরা ও পেশাদার নৈরাজ্যবাদী’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। আগেরদিন রবিবার ফ্যাসিবাদবিরোধী গোষ্ঠী অ্যান্টিফাকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প।

ইতোমধ্যে বিক্ষোভ দমনে দেশটিতে ন্যাশনাল গার্ডের ১৬ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ট্রাম্পের হুমকির সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকার জনগণের বিরুদ্ধেই আমেরিকার সেনা ব্যবহার করতে চান ট্রাম্প’।

সংবাদ সম্মেলন শেষে হোয়াইট হাউসের পাশেই সেন্ট জোনস গির্জায় যান ট্রাম্প।রবিবার (৩১ মে) রাতে এ গির্জাটিতে আগুন লেগেছিল। সেখানে গিয়ে বাইবেল হাতে ছবি তোলেন তিনি। তবে তার গির্জায় যাওয়ার পথ ‘পরিষ্কার’ করতে হোয়াইট হাউসের সামনে অবস্থান নেওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার শেল ছোঁড়ে ও লাঠিপেটা করে পুলিশ।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের শক্তি প্রয়োগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেন্ট জোনস গির্জার বিশপ।

ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার বলেছেন, কারফিউ শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের এ ধরনের শক্তিপ্রয়োগ মেনে নেওয়া যায় না। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের ডেমোক্রেট দলীয় স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও উচ্চকক্ষ সিনেটের নেতা চাক শুমার বিবৃতি দিয়ে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

শুধু ওয়াশিংটনেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর গতকাল (১ জুন) সোমবার চড়াও হয়েছে পুলিশ।

বার্তা সংস্থা এপি পুলিশের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে জানিয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে চলা বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ থেকে পাঁচ হাজার ৬০০ মানুষকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলস শহর থেকেই আটক করা হয়েছে এক হাজার ৭০০ জনকে।

পূর্বকোণ/ এএ 

শেয়ার করুন