চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গের ‍মৃত্যুতে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, থানায় আগুন  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ মে, ২০২০ | ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশি নিপীড়নে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশটির কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা মিনিয়াপলিসের একটি থানায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়।  ওই অগ্নিসংযোগের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, এরপরই সেখানে জাতীয় রক্ষিবাহিনী মোতয়েন করে কর্তৃপক্ষ।

সিএনএন-এর সাংবাদিক সারা সিডনার জানান, একদিকে থানার ভেতরে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে চলছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা উল্লাস করছে। পুলিশের বেষ্টনী ঘিরে লোকজন আতশবাজি করছে। তবে কোনও সাইরেনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের কোনও তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।

ঘটনাস্থল থেকে সিএনএন-এর প্রতিবেদক জোশ ক্যাম্পবেল বলেন, পুলিশ হিসাব কষেই বলপ্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা হয়তো এ কারণে যে, পুলিশ জানে তাদের উপস্থিতি উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে তুলবে। এতে করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে।

এর মধ্যেই সামনে এসেছে পুলিশের হাতে আরও দুই আমেরিকান-কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার বিষয়টি। তাদের মধ্যে আহমুদ আরবারিকে হত্যা করা হয় জর্জিয়ায় এবং বেরোনা টেইলরকে হত্যা করা হয় কেন্টাকিতে।

মিনিয়াপোলিস ও সেন্ট পলসের মেয়ররা বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের পর মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজকে জাতীয় রক্ষীবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করেন। তিনি সে অনুরোধে সাড়া দেন ও ‘শান্তিকালীন জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেন।

এর আগে বুধবার মিনিয়াপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে ফ্লয়েড হত্যায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। যে চার পুলিশ সদস্য ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন তাদের ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত সোমবার সন্দেহভাজন একটি প্রতারণার ব্যাপারে খবর পেয়ে ফ্লয়েডকে ধরতে যায় পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিওতে দেখা গেছে, ফ্লয়েডের ঘাড়ে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে থাকায় নিঃশ্বাস না নিতে পেরে তিনি কাতরাচ্ছেন।

ফ্লয়েডের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে এনেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশটিতে এক হাজার ১৪ জন পুলিশের হাতে নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামের একটি সংগঠনের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যান কৃষ্ণাঙ্গরা।

এছাড়া ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিন গুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট