চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কুয়েতে কর্মহীন প্রবাসীদের জন্য ফ্লাইট চালুর দাবী
কুয়েতে কর্মহীন প্রবাসীদের জন্য ফ্লাইট চালুর দাবী

কুয়েতে কর্মহীন প্রবাসীদের জন্য ফ্লাইট চালুর দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুয়েত

২১ মে, ২০২০ | ৩:১১ অপরাহ্ণ

বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধে প্রত্যেক দেশ সর্তকতামূলক নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কুয়েত সরকার ১২ মার্চ থেকে লকডাইনের ঘোষণা করার পরেরদিনই মার্চের ১৩ তারিখ হতে শুধুমাত্র কার্গো বিমান ব্যতিত বাণিজ্যিকসহ সব ধরণের ফ্লাইট চলাচল স্থগিত ঘোষণা করে দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

প্রায় তিন মাস কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মহীন প্রবাসী বেকার অলস সময় কাটাচ্ছেন। লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কোম্পানি। কারখানার মালিকরা বেশিরভাগ শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে দিয়েছে। রমজান মাসে খাওয়া খরচ ও বাসা ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রবাসী কর্মহীন লোকজন। পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে বসে থাকতে থাকতে বয়স্করা সহ অনেকেই ডায়াবেটিকসসহ নানা ধরনের শারিরিক সমস্যায় ভুগছেন। অর্থের অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছেন না অনেকেই। আবার অনেক প্রবাসী ছুটিতে দেশে যাওয়ার জন্য টিকেট কিনেও ফ্লাইট বাতিল হবার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। তাই কুয়েত প্রবাসীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন তাদের জন্য যাতে বিশেষ ফ্লাইটে ব্যবস্থা করে  দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

কুয়েত প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের কারণে সব কিছু বন্ধ থাকায় আমরা আর্থিক কষ্টের মধ্যে রয়েছি, রমজান মাস হওয়ায় আরও বেশি ভুক্তভোগী। কর্মহীন ও বেতন না পাওয়ায় মানষিক দুঃশ্চিন্তায় অনেকই ডায়াবেটিকসসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন। তাদের পারিবারিক সেবা যত্ন ও চিকিৎসার খুব প্রয়োজন।

অপর এক প্রবাসী বেলায়েত হোসেন জানান, আমি একজন টেক্সি ড্রাইভার। করোনার কারণে দেশটিতে টেক্সি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আমরাও বেকার হয়ে পড়েছি। এটা ছাড়া আমাদের অন্য কোন আয়ের উপায় নেই। এতো দিন ধার দেনা করে চলেছি। এখন সেটাও আর সম্ভব না। আমি ঈদে দেশে যাওয়ার জন্য দুই মাস আগে টিকেট করেছি। করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশেও যেতে পারছি না। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের জন্য যেন বিশেষ ফ্লাইটে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করে।

এদিকে, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পুনরায় বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। দেশটির সরকারের নির্দেশ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেকোনো সময় শুরু হতে পারে বাণিজ্যিক ফ্লাইট।

অন্যদিকে বিমান বন্দরের সিভিল এভিয়েশন তাদের কার্যক্রম ফের পরিচালনা করার জন্য নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে কখন থেকে এবং কোন কোন দেশের সাথে বিমান চলাচল শুরু করা হবে, তা স্পষ্ট করেননি কতৃপক্ষ।

পূর্বকোণ/ এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট