চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রখ্যাত সাহিত্যিক দেবেশ রায় আর নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ মে, ২০২০ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

প্রখ্যাত সাহিত্যিক দেবেশ রায় আর নেই। পশ্চিমবঙ্গের বাগুইআটির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই সাহিত্যিক। ভার্টিগোজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক ভারসাম্যের অভাবেও ভুগছিলেন তিনি। বুধবার ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এই ঔপন্যাসিক বাংলাদেশেও সমান পরিচিত ছিলেন তার সাহিত্যকর্ম দিয়ে। কথাসাহিত্যে তার বয়ান আলাদা করে চিত্রিত করেছে তাকে। ঢাকার সাহিত্য নিয়ে দেবেশ রায়ের উচ্ছাসও ছিলো অনেক।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যখন তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়ায়, বাংলাদেশেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পাঠকমহলের কেউ-কেউ শোক জানিয়েছেন। গল্পকার ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় কথাসাহিত্যিক যার সঙ্গে নানা দ্বন্দ্ব, সংঘাত, ভালোবাসার মিথস্ক্রিয়ায় আমার বেড়ে উঠা সেই দেবেশ রায় আর নেই। আজ রাতে তিনি চলে গেছেন।’
লেখক-সাহিত্যিক স্বকৃত নোমান লিখেছেন, ‘দেবেশ রায়। উপন্যাসে মহাকাব্যিক বিস্তার দেওয়ার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তার। তিনিও চলে গেলেন। বাংলা উপন্যাসের একটা দিগন্ত শূন্য হয়ে গেল। অশ্রুত শোক ও শ্রদ্ধা।’

ভারতের কলকাতার ‘এই সময়’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দেবেশ রায়ের বেড়ে ওঠা উত্তরবঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাজনীতির সূত্রেই পুরো উত্তরবঙ্গ চষে বেড়ান। শিখেছিলেন রাজবংশী ভাষা। কলকাতায় থাকাকালীন সক্রিয় ভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করায় শ্রমিক সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এসবের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করতেন। ১৯৭৯ সাল থেকে এক দশক পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তার প্রথম উপন্যাস ‘যযাতি’। ‘আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’— এই আটটি গল্প নিয়ে বেরিয়েছিল তার প্রথম গল্পের সংকলন। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস। তার রাজনৈতিক বীক্ষার ছাপ রয়েছে এই উপন্যাসে। রয়েছে উত্তরবঙ্গের জীবনের বহতা ধরা। বাস্তববাদী উপন্যাসের প্রচলিত ছক থেকে সরে গিয়ে বহুস্বরকে নিয়ে আসেন। এই উপন্যাসের জন্যেই ১৯৯০ সালে তিনি সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার পান।’

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট